img

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চট্টগ্রাম থেকে রংপুরগামী তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি। ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধার কার্যক্রমে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ডিভিশনাল পর্যায়ে রেলওয়ের ডিজিওকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় পেট্রল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে রংপুর যাচ্ছিল ট্রেনটি। এ সময় ট্রেনটি মির্জাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনের বগিসহ তেলবাহী আরেকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইনের পাশে উল্টে যায়। উল্টে যাওয়া বগিতে ৩০ হাজার লিটার পেট্রল ছিল। এ দুর্ঘটনায় বগিতে থাকা অধিকাংশ পেট্রল পড়ে গেছে। 

 

এ ট্রেন দুর্ঘটনায় ট্রেনের লোকো মাস্টার ফিরোজ শাহ সুলতান (চালক) ও সহকারী চালক জিয়াউর রহমান আহত হয়।

 

মির্জাপুরে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি। পরে সোমবার রাত ১টার দিকে উদ্ধারকারী রিলিভ ট্রেন আসার পর লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধার কার্যক্রমে ধীরগতি হয়।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধার কার্যক্রমে ধীর গতি হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধারে মঙ্গলবার (২১ জুন) সারাদিন লাগতে পারে। এছাড়া ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রেন চালকের অসাবধানতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

তবে চালক দাবি করেছে, ট্রেনের ব্রেক ফেল করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে থাকা ‘লগ’ এ রেকর্ড রয়েছে। লগেই বিস্তারিত পাওয়া যাবে আসলে কী কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।

 

এদিকে মির্জাপুরের স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই একটি রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। পরে মঙ্গলবার আরও একটি ট্রেন উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেবে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধারে সময় লাগলেও লুপ লাইনে ট্রেনটি দুর্ঘটনা হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়নি। মেইন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর