img

গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের রীতি বেশ পুরনো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেল কিনতেও বেশকিছু বেসরকারি ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে। একটি মোটরসাইকেল কিনতে গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

প্রয়োজন ও শৌখিনতা, এ দু’য়ের বাহনই মোটরসাইকেল। গত এক দশকে দেশে মোটরসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মোটরসাইকেল ক্রয়ে ঋণ দিচ্ছে বেশকিছু বেসরকারি ব্যাংক। গড়ে ঋণ পাওয়ার পরিমাণ ১ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ঋণ পাওয়া যাচ্ছে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

 

বর্তমানে বেসরকারি খাতের দি সিটি, প্রাইম ও ব্র্যাক ব্যাংক মোটরসাইকেল কেনায় ঋণ দিচ্ছে। এ ছাড়া ইস্টার্ন, উত্তরা ব্যাংকও মোটরসাইকেল কেনায় ঋণ দিতে নতুন সেবাপণ্য এনেছে। ঋণের আকার ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ঋণের আকার কম হওয়ায় মোটরসাইকেল ঋণে সুদহারও বেশি। তবে এখন সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশ। এর সঙ্গে রয়েছে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ পর্যন্ত সেবা মাশুল। আর ঋণ পরিশোধ করা যায় তিন বছরে। একটি মোটরসাইকেলের দামের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো।

এ ব্যাপারে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিক এ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। কোনো কোনো ব্যাংক শিক্ষার্থীদেরও এই ঋণ দিচ্ছে। বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে যাদের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকা, তারাই এই ঋণ পাচ্ছেন। আর ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকদের ক্ষেত্রে যাঁদের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা, তারা এই ঋণ পাচ্ছেন। এই ঋণ নিতে ইচ্ছুক যে কেউ সরাসরি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে ঋণ আবেদন করতে পারেন।

কিছু কিছু মোটরসাইকেলের শোরুমেও ঋণ আবেদনের ব্যবস্থা আছে। অন্য ঋণের মতো মোটরসাইকেল ঋণেও সব ধরনের নথি জমা দিতে হয়।
 

একজন গ্রাহকের ঋণ আবেদনের জন্য প্রয়োজন জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ই-টিআইএন ও ব্যবসায়িক কার্ড বা অফিস আইডির ফটোকপি। এ ছাড়া বেতন বা আয়ের সনদ, পরিষেবা বিলের কপি, বাইকের দামের কোটেশন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও যেকোনো ব্যাংকের সিকিউরিটি চেক জমা দিতে হয়। ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এবং বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকের ভাড়ার রসিদ জমা দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর