বিশ্ব শিক্ষাব্যবস্থায় এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া
উচ্চশিক্ষায় স্বপ্ন পূরণের দেশ হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া। কারণ দেশটির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেখানকার শিক্ষার মানও অনেক উন্নত। জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া আজ উন্নতির শিখরে। শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্ভাবকের মর্যাদা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।
বিশ্ব শিক্ষাব্যবস্থায় র্যাংকিংয়ে কোরিয়ার অবস্থান নিয়মিত প্রথম সারিতেই থাকে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ২৯তম স্থান অর্জন করেছে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আগের বছরের তুলনায় সাত ধাপ এগিয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কাইস্ট, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি, ইয়নসে, আজু, খিয়ংহি ও ইনহা’র মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে কোরিয়ায়। দেশটিতে প্রায় দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান প্রায় সমান। একটি অপরটিকে ছাড়িয়ে যেতে নিত্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। রাজনীতি নয়, এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় গবেষণা। কোরীয় সরকার জিডিপির ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে শুধু গবেষণায়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের বেশি। যাদের অধিকাংশই বৃত্তি নিয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি করছেন। কোরিয়া প্রকৌশল বিদ্যা আর গবেষণার মাধ্যমে নানা উদ্ভাবনে প্রতিযোগিতা দিচ্ছে সমানতালে বিশ্বের নামীদামী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।
উচ্চশিক্ষার জন্য দেশটিতে যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে গেলে জীবনযাত্রা অনেকটা সহজ হবে।
উচ্চশিক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি, ব্যাচেলরস ডিগ্রি, ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য যেকোনো শিক্ষার্থী নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন দক্ষিণ কোরিয়াকে। বর্তমানে ২০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন দেশটিতে।
কোরিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। দেশটির সরকার শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স ও পিএইচডিতে বৃত্তি দিয়ে থাকে। রয়েছে প্রফেসর ফান্ড স্কলারশিপ ও কোরিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। যেখানে কোরিয়ান সরকার প্রতিবছর বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রচুর বৃত্তি দিয়ে থাকে। এর মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে প্রফেসর ফান্ড থেকে। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির ক্ষেত্রেও অনেক সম্ভাবনার জায়গা দক্ষিণ কোরিয়া।
উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর সরকারিভাবে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে থাকে দেশটি। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা টিউশন ফিসহ অন্যান্য সব খাতে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।