img

জ্বালানি সংকট সামাল দিতে সোমবার (২০ জুন) থেকে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে সব ধরনের বিপণিবিতান, শপিংমল ও দোকানপাট। তবে ব্যবসায়ীরা ঈদুল আজহার কেনাকাটার সুবিধার্থে ১ থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বাড়তি সময় চেয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

ব্যবসায়ীদের দাবি প্রসঙ্গে শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেছেন, আমরা তাদের এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেইনি। কারণ, বিদ্যমান আইন এটি কভার করে না। এ কারণে আমরা তাদের প্রস্তাবটি সামারি আকারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাব। বাকি সিদ্ধান্ত সেখান থেকেই আসবে।

 

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোরবানির বাজার ধরার জন্য দুই ঘণ্টা, অর্থাৎ রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়তি সময় চেয়েছিলাম। আমাদের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পিএম দফতরে পাঠানো হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
 

রোববার (১৯ জুন) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে রাত ৮টায় দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এ সময় এফবিসিসিআই, দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে হাসপাতাল, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দর, হোটেল, সেলুন, ওষুধের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, ক্লাব, মিষ্টি ও ফুলের দোকান, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিসসহ অন্যান্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ নিয়মের বাইরে থাকবে।
 

এর আগে, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়।
 

চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর