img

কোয়াড্রাপল শিরোপা জেতার সম্ভাবনা জাগিয়েও দুটি শিরোপা নিয়ে মৌসুম শেষ করতে হয়েছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে অলরেডদের পারফরম্যান্স বিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরাচ্ছে কয়েক মৌসুম থেকেই। তবে আগামীতে কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে হয়তো চিন্তায় আছে ইংলিশ জায়ান্টরা। দলের সেরা তারকাদের সঙ্গে যে সম্পর্কের ফাটলের আশঙ্কা দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ - লিভারপুলের পরামর্শ উপেক্ষা করে দেশের হয়ে চোট নিয়ে মাঠে নেমেছেন মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ।

লিভারপুলের সঙ্গে মোহামেদ সালাহের চুক্তি ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত। বর্ধিত বেতনের চাহিদার সঙ্গে মতানৈক্য থাকায় লিভারপুল এখনো নতুন চুক্তি করতে পারেনি মিশরীয় তারকার সঙ্গে। এ মৌসুমে অ্যানফিল্ডে থাকার নিশ্চয়তা দিলেও দলের সঙ্গে সম্পর্কটা হয়তো আর আগের মতো দৃঢ় নয়। সাম্প্রতিক ঘটনায় মনে হচ্ছে তেমনটাই।

আফ্রিকান কাপ অফ নেশন্সের বাছাই পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মিশর ও গিনি। ম্যাচে ১-০ গোলে গিনিকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে ফারাওরা। দলের সেরা তারকা এই ম্যাচটা খেলেছে ইনজুরি নিয়ে। ম্যাচের আগে লিভারপুলের পক্ষ থেকে সালাহ'র কাছে অনুরোধ করানো হয়েছিল ইনজুরির স্থান স্ক্যান করে দেখার জন্য। তার ইনজুরি কোন পর্যায়ের তা জানতেই ক্লাবের এই তোড়জোড়। কিন্তু সালাহ তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং ইনজুরি নিয়েই নেমে পড়েছেন মাঠে।


মিসরের কোচ এহাব গালাল ম্যাচ শেষে বলেছেন, 'সালাহ চোট নিয়েই খেলেছে। ম্যাচের আগে লিভারপুল তাকে এক্স–রে করানোর অনুরোধ করেছিল, কিন্তু সালাহ তা রাখেনি।' তবে ম্যাচের পর যে সালাহ'র ইনজুরির স্থান স্ক্যান করা হবে হবে তা জানিয়েছিলেন কোচ।

সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে লিভারপুলের জার্সিতে ৫১ ম্যাচে ৩১ গোল করেন সালাহ। প্রিমিয়ার লিগে ২৩ গোল নিয়ে যুগ্মভাবে সেরা গোল্ডেন বুট জেতেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ৮ গোল নিয়ে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই ছিলেন।

এমন দারুণ মৌসুম কাটালেও মৌসুমের শেষ দিকে ইনজুরিতে ভুগছিলেন সালাহ। চেলসির বিপক্ষে এফএ কাপের ফাইনালে মাত্র ৩২ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর সাউদাম্পটনের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও খেলতে পারেননি তিনি। উলভসের বিপক্ষে নেমেছিলেন বদলি হয়ে।

আগামী দশদিনের মধ্যে মিশরের রয়েছে আরও দুটি ম্যাচ। দক্ষিণ কোরিয়া ও ইথিওপিয়ার বিপক্ষে সে দুটি ম্যাচে সালাহ খেলতে পারবেন কি-না তা জানা যাবে স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর। সালাহ'র ইনজুরি সিরিয়াস হলে মিশরের পাশাপাশি লিভারপুলের জন্যও তা শঙ্কার। দ্রুতই শুরু হবে তাদের প্রাকমৌসুম অনুশীলন।

লিভারপুল এখনো আশাবাদী তারা ধরে রাখতে পারবে মিশরীয় তারকাকে। আসছে দলবদলে সাদিও মানের অ্যানফিল্ড ছাড়াটা মোটামুটি নিশ্চিত। সালাহ যদিও বলছেন এই মৌসুমটা তিনি লিভারপুলের হয়েই খেলবেন, কিন্তু ক্লাবের নির্দেশনা না মানার এমন উদাহরণ খুব একটা আশাবাদী করবে না ক্লাবকে। 

এই বিভাগের আরও খবর