img

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও তিন জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

তারা হলেন- মো. আমির হোসেন (২২), মো ফারুক (৪৫) ও রাসেল (৩৯)। এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৫ জুন) বিকেলে তাদেরকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

আমির হোসেনের সহকর্মী সেলিম রেজা জানান, আমিরের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। কনটেইনার ডিপোতে কাজ করত সে। শনিবার রাত ১১টায় তাদের ডিউটি করার কথা ছিল। এরআগে সে মোবাইল ফোনে টাকা লোড করতে যাচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় সে।

রাসেলের ভাই মো রবিউল জানান, রাসেল ও ফারুক নারায়ণগঞ্জ প্রাইম কালচার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কন্টেইনারবাহী গাড়িচালক। শনিবার তারা মোট ৫টি কনটেইনার গাড়িতে গার্মেন্টসের মালামাল নিয়ে ওই ডিপোতে গিয়েছিল। আগুন লাগার পর তারা সেখান থেকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিল। তখন আবার বিস্ফোরণ হলে তারা ছিটকে পড়ে যায়। সেখান থেকে বের হতেও পারছিল না তারা। তখন ডিপোর বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে তাদেরকে বের করা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় ক্লিনিকে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস. এম. আইউব হোসেন জানান, বিকেলে আরও তিন জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। এখনো ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, কনটেইনার ডিপোটিতে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ‘হাইড্রোজেন পারক্সাইড’ ছিল। হাইড্রোজেন পারক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের নিরাপদে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

এই বিভাগের আরও খবর