img

সৃষ্টির সূচনালগ্নে পৃথিবীতে যখন মানুষের পদচারণা হতে শুরু করে, তখন প্রকৃতি ছিল সুন্দর ও প্রাণবন্ত। জীবনের প্রয়োজনে ধীরে ধীরে মানুষ যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করল, তখন থেকে নিজের অজান্তেই প্রকৃতিকে শুরু করল ক্ষতবিক্ষত। যার সবশেষ পরিণাম বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ।

পরিবেশ দূষণে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন: মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই দূষণ হতে পারে প্রাকৃতিক কারণে অথবা মানুষের মাধ্যমে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফলেই পরিবেশ দূষণ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (ইপিএ) বর্তমানে পরিবেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে গণ্য করেছে ই-বর্জ্যকে।

ই-বর্জ্য বা ইইই বলতে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জামগুলোকে বোঝানো হয়ে থাকে। এই শব্দটি ফ্রিজ, খেলনা এবং ওয়াশিং মেশিনের মতো পণ্যগুলোর জন্যও প্রযোজ্য। এসব পণ্য এতটাই ক্ষতিকর যে, এগুলো একই সঙ্গে মাটি, পানি, বায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা রাখে।

মূলত  শিল্পবিপ্লবের পর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য প্রচুর পরিমাণে তৈরি হতে শুরু করে, যা বর্তমানে গুরুতর বৈশ্বিক সমস্যা সৃষ্টি করে। বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানযুক্ত অসংখ্য প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার সঙ্গে এ-জাতীয় বর্জ্য নিষ্পত্তি তাই আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

কোনো পদার্থকে বিষাক্ত বা হুমকি হিসেবে তখনই বিবেচনা করা হয়, যখন এটি ত্বকের নিশ্বাসে বা শরীরে শোষিত হয়ে মৃত্যু বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেলুলার টেলিফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন এবং সোলার প্যানেলের মতো বিভিন্ন পণ্যে একই সঙ্গে বাতাস, মাটি ও পানির দূষণ যদি রোধ না করা যায়, তবে তা পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে এই পৃথিবী ও মানুষের অস্তিত্বকে বিলীন করে দেবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর