img

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে সুপরিচিত 'চা'। ১৮৪০ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রথম চা আবাদের শুরু হলেও, বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে।

দেশে বর্তমানে ১৬৭টি বড় এবং প্রায় ৮ হাজার ছোট চা বাগানের মাধ্যমে দেশে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২৩টি দেশে রফতানিও হচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় শনিবার (৪ জুন) জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ দেশের ছোট বাগানগুলোর উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণে বিদেশে পাঠানোর পর জোর দেন তিনি।

একই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ শতাংশ করে চা উৎপাদন বাড়ছে কিন্তু মানুষের চাহিদা তার চেয়েও বেশি। প্রতিবছর চায়ের উৎপাদন বাড়লেও অভ্যন্তরীণ চাহিদার রফতানি বাড়ানো যাচ্ছে না। দেশে প্রতিদিন দশ কোটিরও বেশি মানুষ চা পান করে থাকেন। এভাবে চা খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকলে রফতানি করা কঠিন।

বাংলাদেশের চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ছিয়ানব্বই মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হচ্ছে। শিগগিরই একশ চল্লিশ মিলিয়ন কেজিতে চায়ের উৎপাদন বাড়ানো যাবে এবং এর মধ্য থেকে পনেরো মিলিয়ন কেজি রফতানি করাও সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে চা শিল্পের অবদান রাখার জন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর