img

দানব গর্তকে বলা হয়ে থাকে সিঙ্কহোল। সোজা কথায় বলতে এটি হলো মাটির নিচে ডেবে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিশাল গর্ত। এ গর্তে সাধারণত প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তবে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াঞ্জি ঝুয়াং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে ৬৩০ ফুট গভীর এক সিঙ্কহোল খুঁজে পেয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। যেখানে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব।

চীনের ইনস্টিটিউট অব কার্স্ট জিওলজির ইঞ্জিনিয়ার ঝাং ইউয়ানহাই জানান, লেই কাউন্টির পিংই গ্রামের কাছে অবস্থিত এ গহ্বরের দেওয়ালে তিনটি গুহা রয়েছে আর এর একেবারে গভীরে  লুকিয়ে রয়েছে বিশাল এক প্রাচীন বনাঞ্চল।

এ বনাঞ্চলে প্রাণের অস্তিত্ব হিসেবে গাছ খুঁজে পাওয়ার কারণ হিসেবে চীনা বিজ্ঞানীরা বলেন,  সিঙ্কহোলের ফাঁক দিয়ে সূর্যরশ্মি গর্তের গভীরে প্রকাশ করায় এখানে গাছের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন এখানে নতুন কোনো প্রাণীরও সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

সাধারণত সিঙ্কহোলে বনাঞ্চল পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই চীনা বিজ্ঞানীদের এমন আবিষ্কারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কেভ অ্যান্ড কার্স্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এনসিকেআরআই) নির্বাহী পরিচালক জর্জ ভেনি প্রশংসা করেছেন।

এই সিঙ্কহোলটি খোঁজার বিজ্ঞানী দলের প্রধান ছিলেন চেন লিক্সিন। তিনি বলেন, এখানের গাছগুলোর কোনো কোনোটির উচ্চতা ৪০ মিটারও ছাড়িয়েছে। এই বনের বিশেষত্ব হলো গহ্বরটি লম্বায় ৩০৬ মিটার এবং ১৫০ মিটার চওড়া। গভীরতা ১৯২ মিটার বা প্রায় ৬৩০ ফুট।

বিজ্ঞানী দলের প্রধান লিক্সিন আরও বলেন, চীনের দক্ষিণাঞ্চলের এ সিঙ্কহোলটির দেওয়ালের পাথরগুলো ভূগর্ভস্থ পানির ধারায় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। একারণে ভেতরের বনাঞ্চলে ও বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে অদ্ভূত নকশার। তাই গভীর অরণ্যে পাওয়া যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যও।

সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা  

 

এই বিভাগের আরও খবর