img

ইউক্রেনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। এজন্য পশ্চিমাদের প্রতি রুশ বাহিনীকে পরাজিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ও মুদ্রা ব্যবসায়ী জর্জ সরোস।। তিনি বলেছেন, স্বাধীন সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে এটিই উত্তম উপায়। খবর রয়টার্সের

৯১ বছর বয়সী হাঙেরি বংশোদ্ভূত সরোস ১৯৯২ সালে পাউন্ডের বিরুদ্ধে বাজি ধরে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধকে উন্মুক্ত সমাজ ও বদ্ধ সমাজের মধ্যে লড়াই হিসেবে দেখছেন সরোস। তার মতে, বদ্ধ সমাজের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া ও চীন।

 

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে (দাভোস) বক্তৃতায় জর্জ সরোস বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। এই যুদ্ধে পশ্চিমা সমাজ টিকতে নাও পারে। এজন্য পশ্চিমা সভ্যতা রক্ষার একমাত্র উপায় হলো পুতিনকে যত দ্রুত সম্ভব পরাজিত করা।

ইউক্রেন যুদ্ধকে বিশেষ অভিযানের কথা বললেও পুতিন মূলত তার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়েছিলেন। এখন তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন এই ধনকুবের।

 

সরোসের মতে, যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া সহজ নয়। পুতিনকেও বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। তিনি এখন আরও অনিশ্চয়তাপূর্ণ।

যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী না করা গেলেও ইউক্রেনের লড়াই করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান বন্ধু বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোও বলেছেন, পশ্চিমারা যদি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে তাহলে পরিস্থিতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে।

 

সোমবার (২৩ মে) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনি গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য আন্তর্জাতিক তৎপরতা ও বিস্তারকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি হিসেবে দেখছেন লুকাশেঙ্কো। সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়িয়ে ইউরোপে এই আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধ করতে বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। টানা তিন মাসের লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। ধ্বংস হয় বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ সব শহর। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউক্রেন-রাশিয়াসহ পুরো বিশ্ব।

এই বিভাগের আরও খবর