মাঙ্কিপক্স এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব: ডব্লিউএইচও
এখনো যেসব দেশে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি সে দেশগুলোর পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বাইরে এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬টি দেশে। এসব দেশের রোগীর সংখ্যা এক শতাধিক।
তবে এটি আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পরিস্থিতিতে মাঙ্কিপক্স বিশ্ববাসীকে শক্তিশালী এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। তবে নতুন এই ভাইরাসটির ধরন বদলানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় ভাইরাসটির ধরন পরিবর্তনের কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি বলে সোমবার জানায় সংস্থাটি।
গুটিবসন্ত বিষয়ক দফতরের প্রধান রোজামুন্ড লুইস বলেন, এটাকে আমরা ডিএনএ ভাইরাস বলতে পারি। অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এর পরিবতির্ত হওয়ার হার কম। এটি স্থিতিশীল ভাইরাস। যেকারণে ভাইরাসটির ধরন বদলানোর বিষয়ে এখনও প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।
এর আগে মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো সহজে সংক্রমিত হয় না বলে জানান একদল বিজ্ঞানী। তবে বিপুল জনগোষ্ঠীর মাঝে রোগটির ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কম হলেও আগে থেকেই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-সিডিসি ও জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ বলেন, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক বিষয়। যেকারণে এটি অত্যন্ত উদ্বেগের। ভাইরাসটি যেভাবে ছড়াচ্ছে তার মানে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। আর তাই আমাদের এখনই দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ দিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ২১ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। সোমবার স্কটল্যান্ড দেশটিতে প্রথম শনাক্তের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় রোগটিকে 'বিরল' বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আক্রান্তদের কাছাকাছি আসা ব্যক্তিদের ২১ দিন আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বরিস প্রশাসন। অনেকের ক্ষেত্রে স্মলপক্সের টিকা নেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।