img

সংঘাত, সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বাঁচতে বিশ্বজুড়ে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এ তথ্য।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার অন্যতম কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ। এছাড়া আফ্রিকার ইথিওপিয়া ও কঙ্গোতে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং এশিয়ার আফগানিস্তান ও মিয়ানমারেও সহিংসতার কারণে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে নতুন করে যেসব অঞ্চল ভূমিকা রাখছে, তার মধ্যে উত্তর মোজাম্বিক, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল উল্লেখযোগ্য।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পৃথিবীতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ধরনের রেকর্ড সৃষ্টি করা কখনোই উচিত নয়। নিরপরাধ মানুষদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পেছনে যে ধ্বংসাত্মক দ্বন্দ্ব ও নিপীড়ন রয়েছে তা অবসানে সোচ্চার হতে হবে।’

ইউএনএইচসিআর যে তথ্য দিয়েছে সেখানে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের শেষ নাগাদ ৬ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাস্তুচ্যুতির কারণগুলো মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ অবস্থায় মানবিক সহায়তাই বাস্তুচ্যুতির সঠিক সমাধান করতে পারবে। বাস্তুচ্যুতি রোধ করার একমাত্র উপায় হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, যাতে নির্দোষ মানুষরা ঘরবাড়ি ছেড়ে নির্বাসনে যেতে বাধ্য না হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর