img

 কানাডায় শক্তিশালী ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ জন। দেশটির অন্টারিও এবং কুইবেক প্রদেশের ৯ লাখের বেশি ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে তীব্র তুষারপাতের কবলে যুক্তরাষ্ট্রে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্যদিকে ব্রাজিলের অ্যামাজোনাস অঙ্গরাজ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ।

শনিবার (২১ মে) স্থানীয় সময় রাতে কানাডায় শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানে। অন্টারিও প্রদেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল এবং কুইবেক প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়টি, লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায় সবকিছু। এ সময় ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি, যানবাহন। খবর বিবিসির। 

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝড়ের কারণে প্রদেশ দুটিতে ৯ লাখের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ জানায়, ঝড়ের সময় বজ্রপাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গাছ পড়ে আহত হয়েছেন অনেকে।  

এদিকে বসন্তের শেষে আকস্মিক তুষার ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্য। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ডেনভার শহরের। অন্তত ২০ ইঞ্চি তুষারে ঢাকা পড়েছে রাস্তাঘাট। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। রাস্তায় চলাচলের জন্য সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। 
 

ঝড়ের কারণে কলোরাডোর ১ লাখের বেশি বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) থেকে শনিবার (২১ মে) একদিনের ব্যবধানে অঙ্গরাজ্যটির তাপমাত্রা প্রায় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গেছে। 

অন্যদিকে ব্রাজিলের অ্যামাজোনাস অঙ্গরাজ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। 

কর্তৃপক্ষ বলছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) থেকে শুরু হওয়া বন্যায় হুমকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অঙ্গরাজ্যটির ২৯টি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৮টি এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর