img

রুশ সেনারা বুচা শহরে যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগের পর বুধবার (৬ এপ্রিল) রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন ​​সাকি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় নতুন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করবে এবং দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ক্রেমলিনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। খবর বিবিসির। 

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন বলছে, ওয়াশিংটন পুতিনের দুই মেয়ে এবং রাশিয়ার বৃহত্তম একটি ব্যাংকের বিরুদ্ধেও অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।

রাশিয়ার ওপর পঞ্চম ধাপের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে বুধবার (৬ এপ্রিল) আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতদের। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাশিয়ার কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে ইইউ। রাশিয়ার মালিকানাধীন ও পরিচালনাধীন বেশির ভাগ জাহাজকে ইইউর বন্দর ব্যবহার থেকে প্রতিহত করার কথাও ভাবছেন তারা। 

ইউক্রেনের আশপাশের বিভিন্ন দেশে ন্যাটোর সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ভারী অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে রুশ বাহিনীকে ঠেকানো অসম্ভব।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, ইইউ ও ন্যাটো সীমা লঙ্ঘন করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত রুশ বাহিনী থামবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার হামলার শঙ্কায় নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্যান্ড। 

এ ছাড়া রুশ হামলার জবাব দিতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ হাঙ্গেরিতে ৮০০, রোমানিয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার, বুলগেরিয়ায় ৯০০, স্লোভেনিয়ায় দুই হাজারের বেশি ও বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে মোট ৪০ হাজার ন্যাটো সেনাকে যুদ্ধজাহাজ, কামান, গোলাবারুদ, যুদ্ধ বিমানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। এরপরই ইউক্রেনে অভিযান থামবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। 

এই বিভাগের আরও খবর