মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের চুল কেন বেশি পড়ে?
-1649238327.jpg)
চুল পড়া নিয়ে সবাই কমবেশি বিড়ম্বনায় পড়েন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে ভুগছেন অনেকে। কারো মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। কারো মাথায় পড়ে যাচ্ছে টাক। এদিকে চুল পড়ার চিন্তায় 'চুল পড়া' যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে! আর এদিকে চুল পড়া ঠেকাতে কত কিছুই না করছি আমরা।
মূলত, আমাদের বয়স বাড়ার কারণে অথবা বংশগত বা পরিবেশের প্রভাবে চুল পড়ে যেতে থাকে। এ কারণে আমাদের মন তো খারাপ হয়ই, বরং মনে হয় যদি কৈশোরের মতো চুল আবার হতো কোনোভাবে।
চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই নাজেহাল। নারী-পুরুষ উভয়ই এই সমস্যায় ভোগেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল এমনিতেই পড়ে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়লে সেটা কিন্তু চিন্তার বিষয় হতে পারে।
ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। একটা বয়সের পর চুল ওঠার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে টাক পড়েও যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে মাথার সামনের দিক থেকে। তবে প্রথমে মাথার দু’পাশ থেকে চুল ঝরতে শুরু করে।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি চুল পড়ার কারণ কী?
এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে মূলত ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা বেশি দেখা যায়। পুরুষের প্রজননক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের উপস্থিতি নেই বলেই ছেলেদের মেয়েদের তুলনায় বেশি চুল পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল ঝরার পাশাপাশি বংশগত কারণেও চুল উঠতে পারে। অল্প বয়সেই টাক পড়ে গেছে মানে বংশে কারও চুল ওঠার প্রবল সমস্যা রয়েছে।
আমাদের মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে যদি উদ্দীপনা দিতে পারি, তাহলে চুল গজানো সম্ভব। প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটাকে যদি বাড়ানো যায়, তাহলেও নতুন চুল গজানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার