img

ছোটরা বড়দের দেখে শেখে। শিশুরা যাদেরকে বেশি ভালোবাসে কিংবা পছন্দ করে তাদের আচার-আচরণ অনুসরণ ও অনুকরণ দুটোই করে। রোজা রাখার অভ্যাসও শিশুরা পরিবার থেকেই শেখে। মা-বাবা যদি রোজা রাখেন, তার ভালো প্রভাব শিশুর উপরও পড়ে। 

সাধারণত, রোজা ও নামাজ পালন করা ফরজ হয়নি এমন বালক-বালিকারা যদি রোজা রাখতে আগ্রহী হয়, তবে তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় অভিভাবক অনুমতি দিতে পারেন। আর রোজা রাখতে হলে কি করতে হবে, সেটা শিশুদের শেখানো এবং প্রথমদিকে কয়েক ঘণ্টা করে রোজা রাখার অভ্যাস করলে তারা সেটা এক পর্যায়ে শেখে ফেলে কীভাবে সারাদিন রোজা রাখা যাবে। 

বিভিন্ন বয়সে রোজার খাবার, মানে কিশোর-কিশোরীদের ইফতার-সাহরি প্রাপ্তবয়স্কদের মতো না হলেই ভালো। কারণ এই বয়সে খেলাধুলা, পড়াশোনাসহ অন্যান্য কাজের জন্য শক্তি প্রয়োজন হয়। খুদেরা রোজা রাখলে তাদের খাবারের প্রতি অভিভাবকদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। ছোটদের ইফতার-সাহরিতে তাদের রুচি ও পছন্দের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত। খাবারে পর্যাপ্ত আমিষ জাতীয় খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। 

ইফতারে বিভিন্ন ধরনের শরবত, লাচ্ছি, লাবাং বা বিভিন্ন ফলের জুস রাখার চেষ্টা করবেন। খেজুর ও অন্যান্য ফল যেনো থাকে। তেলে ভাজা ছোলা ভুনা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, কাবাব—এগুলো মাঝে মাঝে খেতে দিবেন। বিকল্প হিসেবে দিতে পারেন ফ্রায়েড রাইস, নুডলস, চিকেন ফ্রাই, স্যুপ। নুডলসের সঙ্গে সবজি, ডিম ও মুরগির মাংসও যোগ করতে পারেন। 

সাহরিতে ভাত, মাংস, সবজি, ডাল, দুধ খাওয়াবেন। দুধ-কলা-ভাত অনেক খুদেদের বিশেষ পছন্দ, চাইলে দিবেন খেতে। আর অবশ্যই ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত বেশি করে পানি পান করতে হবে। একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনোভাবেই তারা সেহরির খাবার বাদ না দেয়। 

অনেক কিশোর-কিশোরী না খেয়েই রোজা রাখতে চায়। তাদের বুঝাতে হবে রোজা রাখতে হলে অবশ্যই সাহরি খেতে হবে। এটাই নিয়ম। তাদের আরও বুঝাতে হবে সাহরি খাওয়ার উপকারিতা হলো, রোজা রাখার শক্তি পাওয়া যায়। সাহরি খেলে সারাদিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও রোজাদাররা সহজে দুর্বল হয়ে পরেন না। দিনভর কর্মঠ থাকার প্রাণশক্তি পেয়ে থাকেন। 

এই বিভাগের আরও খবর