img

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক মাসেও থামেনি গোলাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। রেহাই পায়নি বিদ্যালয়-হাসপাতালও। ধ্বংসস্তূপে পরিণত একের পর এক শহর।

 

খাবার ও পানির তীব্র সংকটে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। দেশ ছেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। প্রতিরোধের পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতিও চালাচ্ছে কিয়েভ। তবে তাতে অগ্রগতি সামান্যই।

 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনের দোনবাসে স্থল-জল-আকাশপথে হামলা চালিয়ে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। হামলা রুখতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিয়েভ বাহিনী। গত এক মাসে দেশটির শুধু কয়েকটি শহরই নয় মস্কো দখলে নেয় দুটি পারমাণবিক কেন্দ্র। সবচেয়ে বড় বন্দরনগরী ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র মারিউপোল, খারকিভ শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। গড়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ বারের মতো বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।

 

ইউক্রেনের জরুরি বিভাগের দাবি, এ পর্যন্ত অন্তত ৬২টি স্বাস্থ্যসেবা স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১০টি হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। রুশ হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত সাড়ে ৬০০ ভবন একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে।

 

রুশ সামরিক অভিযানের মুখে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, পোল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি শরণার্থী মানসিক সমস্যায় ভুগছে। যুদ্ধে এ পর্যন্ত জেনারেল পর্যায়ের তিন রুশ সামরিক কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৫ হাজার সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি রাশিয়ার যুদ্ধবিমানসহ কয়েক শতাধিক ট্যাংকও ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভ।

রাশিয়ার হামলার পর থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা অব্যাহত রাখে ইউক্রেন। মস্কো-কিয়েভের কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। তুরস্কের মধ্যস্থতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়েও বৈঠক হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। সবশেষ গত সোমবার পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক হওয়ার মতো আলোচনার অগ্রগতি এখনো হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর