img

এই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল যন্ত্র নিশ্চিত করা অপরিহার্য বিষয়। ইতোমধ্যে মিশ্র শিক্ষার ওপর টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

শনিবার (৫ মার্চ) ঢাকায় বিটিআরসি আয়োজিত বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি স্থাপন শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ‘মিশ্র শিক্ষা স্থায়ী নয়। এটি প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা থেকে যুগোপযোগী শিক্ষার উত্তরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের বস্তুত ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থাই প্রবর্তন করতে হবে।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটুআই‘র পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মূল উপস্থাপন করেন।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থায় আমরা আর ফিরে যাব না উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছি। কোভিডকালে আমরা এর  প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছি। ২০০৮ সালেও অনেকের কাছে মনে হয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভব না । এখন বাংলাদেশ কেবল ডিজিটাল বাংলাদেশই নয় ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফাইভজি প্রযুক্তিতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে।’ এ মাসেই ফাইভজি প্রযুক্তি আমরা নিলাম করব বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

শিক্ষা ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম এই কারিগর বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় কানেক্টিভিটি, কনটেন্ট এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তৃতায় শ্যাম সুন্দর সিকদার শিক্ষার টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরে কানেক্টিভিটিকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিবিড় সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর