বিদ্যুৎ অফিসের ভুলে ফের গ্রেপ্তার করা হলো দরিদ্র সুনীলকে!
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যুৎ অফিসের ভুলে বিনা দোষে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দরিদ্র সুনীল কোচ (৩৯)। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সখীপুর অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের অভিযোগে ভুল করে অনীল কোচের (৪৩) পরিবর্তে তারই সহোদর সুনীল কোচের নামে মামলা করে। ওই একই মামলাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুনীল কোচকে।
২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সুনীলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সেদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই সময় কয়েকদিন পরেই মুক্তি পান সুনীল। এ ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর ফের সেই একই মামলায় গত রবিবার রাতে সুনীলকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের অভিযোগে উপজেলার কালমেঘা নাগেরচালা গ্রামের মোহন কোচের বড় ছেলে অনীল কোচের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই অভিযোগে বিদ্যুৎ গ্রাহক অনীলের নামে মামলা করতে গিয়ে তারই ছোট ভাই সুনীলের নাম উল্লেখ করে মামলা করে বিদ্যুৎ বিভাগ। অথচ ওই সময় সুনীলের বাড়িতে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগই ছিলো না। পরে ওই মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে সখীপুর থানার পুলিশ সুনীলকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর পুনরায় সুনীলকে গ্রেপ্তার করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের খামখেয়ালীপনা ও গাফিলতির কারণেই বারবার নির্দোষ সুনীলকে জেল খাটতে হচ্ছে।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার) আমিনুল ইসলাম বলেন, সুনীলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, দিনমজুর সুনীলের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। বারবার তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিনা দোষে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
সোমবার দুপুরে পিডিবির সখীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই সময়ের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে গ্রেপ্তার হওয়া সুনীল নির্দোষ প্রমাণিত হলে আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেব।