img

দেশের যেকোনো জায়গায় ম্যারাথন কিংবা হাফ ম্যারাথন হলেই পটুয়াখালীর ব্যানার তুলে ধরে অংশ নেওয়া ছিল তাঁর নেশা। এই কারণে গওহর জামিল হোসেন টুকুকে (৪৬) পটুয়াখালী অ্যাম্বাসেডর। সেই ম্যারাথনে দৌড়াতে দৌড়াতে আজ শুক্রবার সকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন টুকু। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সেইলর চট্টগ্রাম সিটি হাফ ম্যারাথনে দুই ল্যাপের ২২ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন শেষ করেই মাটিতে পড়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় নগরের পতেঙ্গা সৈকত থেকে শুরু হওয়া ম্যারাথনে অংশ নেন তিনি।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী শেখ নাহিদ উদ্দীন বলেন, ‘সাত শতাধিক প্রতিযোগী ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন। চৌচালা এলাকা থেকে ইউটার্ন দিয়ে পুনরায় সৈকত এলাকায় ফিরে আসার পর সকাল ৯টার দিকে টুকু নামের প্রতিযোগী হঠাৎ পড়ে যান। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে তাকে স্থানীয় নৌ-বাহিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।‘

তিনি পটুয়াখালীর মহসিন হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক টুকু পটিয়া সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক এজিএস ছিলেন।

পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো. সেলিম বলেন, পতেঙ্গায় ম্যারাথন দৌড় শেষে অসুস্থ হয়ে পড়া একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নৌ বাহিনী হাসপাতাল থেকে ওই ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পটুয়াখালী থেকে টুকুর লাশ নিতে আসা মামাতো ভাই মাহাতাব আলী অপু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় আমরা টুকুর মৃত্যুর খবর পাই। এরপরেই আমরা লাশ নিতে চট্টগ্রাম এসেছি। ধারণা করছি স্ট্রোকজনিত কারণেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।‘ মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়ে ও স্ত্রী রেখে গেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর