img

আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে তিনটি রুটে পুরোদমে ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। দেশি-বিদেশি তিনটি বিমান সংস্থা একসাথে সপ্তাহে ১৯টি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রী পরিবহন করবে। এতে করে চট্টগ্রাম থেকে ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহ যেতে পারবেন চট্টগ্রামের যাত্রীরা। এরমধ্য দিয়ে পুরোদমে সরগরম হয়ে উঠবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা ল্যাব চালুর পর থেকেই দেশি-বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। ইতোমধ্য এয়ার এরাবিয়া যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। ফ্লাই দুবাই আগামীকাল শুরু করবে। আর বাংলাদেশ বিমান শুরু করছে আগামী সপ্তাহে। এরমধ্য দিয়ে আবারো জমজমাট হয়ে উঠবে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

তিনি বলেন, সবগুলো ফ্লাইট চালু হলে দিনে গড়ে ৮শ যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে যাবেন; সমপরিমাণ করোনার পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে বিমানবন্দরে স্থাপিত চারটি ল্যাবেই।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীবাহি ফ্লাইট পরিচালনা করছে শারজাহভিত্তিক বিমান সংস্থা এয়ার এরাবিয়া। এরমধ্যে চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে সপ্তাহে তিনটি, চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান সংস্থাটি। কিন্তু এতদিন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে করোনা ল্যাব না থাকায় চট্টগ্রাম থেকে শুধুমাত্র ট্রানজিট যাত্রীদের বহন করতো এয়ার এরাবিয়া। এখন থেকে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় গত ৩ জানুয়ারি একদিনেই ৭৮ যাত্রী করোনা পরীক্ষা করেছেন। এরমধ্যে মাত্র একজন পজিটিভ ছিল। বাকিরা সবাই ফ্লাইটে গেছেন।

চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইটের অনুমোদন থাকলেও এখন সপ্তাহে ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা ফ্লাই দুবাই। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করেই কাল ৫ জানুয়ারি থেকে বিমান সংস্থাটি ফ্লা্ইট পরিচালনা শুরু করবে।

এদিকে বাংলাদেশ বিমান আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করছে। এই রুটে চলাচলকারী বিমান সংস্থার মধ্যে বিমানের ফ্লাইটটি সবচেয়ে বড়।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌প্রাথমিকভাবে আমরা সপ্তাহে তিনদিন-শনি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার যাত্রী পরিবহন করব। যাত্রী চাহিদা বাড়লে ফ্লাইট বাড়বে।

অনেকদিন ধরেই চট্টগ্রাম-মধ্যপ্রাচ্য রুটে ভ্রমণে বিমানভাড়া দ্বিগুণ বেড়ে যায়া বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। একইসাথে সৌদি আরবে মরহা করতে গিয়ে বাড়তি ভাড়ার কবলে পড়েছেন। ভাড়া কমাতে বেশকিছু আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু এখন নাগালে আসেনি। এই অবস্থায় একসাথে ১৯টি ফ্লাইট চালু করায় কিছুটা আশা দেখছেন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।

জানতে চাইলে গালফ ট্রাভেলসের মালিক ও হজ্ব এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম সভাপতি শাহ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা শেষে আরব-আমিরাত যাওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় নিঃসন্দেহে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। আমরা আশা করছি এর মধ্যদিয়ে গলাকাঁটা বিমানভাড়া কমাবেন বিমান সংস্থাগুলো। চট্টগ্রাম-দুবাই একমুখি বিমানভাড়া ১ হাজার ডলার থেকে কমিয়ে ৭০০ ডলার করার দাবি এখনো আমলে নেয়নি বিমান সংস্থাগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর