img

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। আর এতে ক্ষোভ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল শনিবার রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে বিএনপি ক্ষুব্ধ, মর্মাহত।’

বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের সমালোচনা করেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ যখন এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখন চীন কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে। এগুলো হলো প্রকৃত গণতন্ত্র কী? যুক্তরাষ্ট্র কি গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করার যোগ্যতা রাখে? আর কিভাবে একটি গণতন্ত্রকে বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন করতে হবে?

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিস্তীর্ণ সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের পথে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার চীন জনগণের গণতন্ত্র বিকাশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের গল্পটিও এক, দেশটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। একটি সরকারসহ একটি দেশ যার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে, তা যদি গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত না হয়, তাহলে হয়তো গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি পুনর্মূল্যায়ন করার অথবা এই সংজ্ঞার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে।’

এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বিএনপি বলেছে, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের প্রাণ আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার।’

বর্তমান সরকারকে ‘গণবিরোধী’ ও ‘অবৈধ’ দাবি করে বিএনপি তার বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ এখন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে সোচ্চার। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো লাগাতারভাবে এই সরকারকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিচ্ছে। 

এমন পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যকে ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।

বিএনপি তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবাধ নির্বাচন, মানবাধিকার, গণতন্ত্রের স্বার্থে চীনকে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর