img

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির বিএনপি সমর্থিত নেতারা এ দাবি জানান। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সমিতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান, সদস্য ব্যারিস্টার এস এম ইফতেখার উদ্দীন মাহমুদ, পারভীন কাওসার মুন্নি এবং ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রাজীব এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সরকারের একজন ‘কথিত দায়িত্বশীল’ প্রতিমন্ত্রী আমাদের এই তরুণ ব্যারিস্টার সম্পর্কে যে লাগামহীন মন্তব্য করেছেন তা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, পরিত্যাজ্য। তার এই মন্তব্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য, বিশেষ করে নারীর প্রতি বিদ্বেষক ও চরম অবমাননাকর।’

ব্যারিস্টার কাজল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে ডা. মুরাদ হাসান বিভিন্ন ব্যক্তি, বিশেষ করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে লাগামহীনভাবে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেই চলেছেন। এমনকি তিনি দাবি করেন যে তিনি যা বলেন তা তিনি সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েই করেন।’

প্রতিমন্ত্রী মুরাদ তার কর্মকাণ্ড ও 'কুরুচিপূর্ণ' মন্তব্যের মাধ্যমে সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করছেন বলেও দাবি করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে।

সমিতির সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করব' মর্মে মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছেন, তিনি ক্রমাগতভাবে তার নানাবিধ মন্তব্য/কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা ভঙ্গ করে চলেছেন। জাতি হিসেবে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রতিমন্ত্রীর মতো একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এসব অযাচিত মন্তব্য জাতি হিসেবে আমাদেরকে কলঙ্কিত করছে।'

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

এই বিভাগের আরও খবর