img

পিরিয়ডের সময় ব্যথা কম বেশি সব নারীদের হয়ে থাকে। কারো ক্ষেত্রে এই ব্যথা থাকে সহনীয় পর্যায়ে আবার কারো কারো ক্ষেত্র তীব্র ব্যথা হয়। পিরিয়ডের সময় জরায়ুর পেশীগুলো অতিরিক্ত সংকুচিত হয় বা প্রসারিত হয়। পিরিয়ড হলে মানসিকভাবে অশান্তিতে থাকে অনেক নারী। সেই সাথে যোগ হয় পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি হতে পারে। তবে কিছু খাবার আছে যা খেলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আলমন্ড ও কলার স্মুদি:

এই স্মুদি শুধু যে পিরিয়ডের সময়ের ব্যথা কমাতে পারে তা না সেই সাথে খেতেও সুস্বাদু।

রেসিপি:

একটি কলা, ৩৫০ মিলিলিটার দুধ, দুই টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ আলমন্ড বাটার,  দুই টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সীড এবং এক চিমটি দারুচিনির গুড়া ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। এরপর সাথে সাথে খেয়ে নিন। এই স্মুদি পিরিয়ডের সময়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে এই স্মুদি কেন জরুরি:

১.আলমন্ডে ভিটামিন ই থাকে যা পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

২.কলাতে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ব্যথা কমায় অর্থাৎ পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে।  

৩.দারুচিনিতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর সাথে অনিয়িমিত পিরিয়ডের সমস্যাও দূর করে দারুচিনি।

৪.ফ্ল্যাক্স সীড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে  এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন অপসারণ করে । এর ফলে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে।

রাসবেরি ও আদা চা:

চায়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো পেশীর খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে ব্যথা কমতে পারে। একটি সসপ্যান অর্ধেক পানি নিয়ে গরম করুন। এরমধ্যে রাসবেরির পাতা ও আদা দিন। তারপর কিছুক্ষণ ধরে ফুটান। চুলার জ্বাল কমিয়ে দিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ঢেকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আদা বা রাসবেরি যা আস্ত থাকবে চাইলে ছেকে নিন।

পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে এই চা কেন খেতে হবে:

রাসবেরির পাতা নারীর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।

আদার অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা কমায়।

এই বিভাগের আরও খবর