img

খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ ঘটনা প্রকাশের দেড় মাস পর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাসের মামলা হয়েছে। অবশ্য এই দীর্ঘ সময়ে প্রকাশের সন্ধান মেলেনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় কার্যলয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় এ মামলা দায়ের করেন।

দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ম্যান) প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি'র দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনার সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নিয়াজ মোহাম্মাদ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।

কমিটি তদন্তকালে দেখা গেছে প্রকাশ দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত রেজিস্টার অনুযায়ী চার কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে এক কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। বাকী দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনক্রমে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিভাগীয় কার্যলয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ কুমার দাসের অর্থ আত্মসাতের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদের তথ্য অনুযায়ী, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে প্রতিদিন যতজন করোনা পরীক্ষা করাতেন তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই সময় প্রকাশ দাস নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের যে তালিকা দিতেন সে অনুযায়ী ক্যাশিয়ার টাকা বুঝে নিতেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে এ ব্যাপারে গত ২২ আগস্ট তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। ২৩ সেপ্টেম্বর ওই হিসাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে চলে যান। এরপর থেকে তাঁর আর সন্ধান মেলেনি।

এই বিভাগের আরও খবর