ব্যাংকের ভল্টেও ঢুকে পড়েছিল তিন চোর
ব্যাংকের সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল শুক্র ও শনিবার। ব্যাংকটির উপশাখা ছিল তালাবদ্ধ। রাতে বাইরে নিরাপত্তা প্রহরাও ছিল না। এই সুযোগে তিন চোর হানা দেয় ব্যাংকে। ভবনের সামনে সাইনবোর্ড লাগানোর স্থানে শাবলের আঘাতে দেয়াল ভেঙে ফেলে তারা। ভোরে তারা ঢুকে পড়ে ফাঁকা ব্যাংকে। এরপর একটি ভল্টের তালাও ভাঙে। তবে বিপত্তি বাধায় সিসি ক্যামেরা।
সদর দপ্তরে বসে তিন চোরের ভল্ট থেকে টাকা লুটের চেষ্টা দেখে ফেলেন নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। তাঁরা দ্রুত ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। আর যায় কোথায়, পুলিশ এসে হাজির চোরের কাছে। ঘটনাস্থলেই ধরা চোর সর্দার। অন্য দুজন পালিয়ে গেলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারাও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।
রাজধানীর বাড্ডায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় ঘটেছে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গত শনিবার ভোরে বাড্ডা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই হৃদয় (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গতকাল রবিবার রুবেল (২১) ও মামুন (২০) নামে তার দুই সহযোগীও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় শনিবার বাড্ডা থানায় মামলা করেছে আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ওই মামলায় গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তিনজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তিনজন ব্যাংকের ভল্ট ভাঙলেও টাকা নিতে পারেনি। হাতেনাতে ধরা পড়ায় চুরির উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এই চক্রে আর কেউ আছে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তদন্তের ব্যাপারে বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম মাসুদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাংকের ভেতর থেকে হৃদয়কে ধরে ফেলে। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রুবেল ও মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই পেশাদার চোর, থাকে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে।’