img

আফগানিস্তানে তালেবানের শাসনের ওপর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যে বৈঠক শুরু হয়েছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সাথে যোগ দিয়েছে চীন। 

'ট্রয়কা প্লাস' নামের এই বৈঠকটির আয়োজন করেছে পাকিস্তান। 

বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। 

ওদিকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার ওপর ভারত বুধবার দিল্লিতে যে বৈঠক করেছিল তাতে চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও 'শিডিউল সমস্যা'র কারণ দেখিয়ে বেইজিং সরকার তাতে যোগ দেয়নি।

আফগান সঙ্কটে গৃহহীন হয়েছেন বহু মানুষ।

আফগান সঙ্কটে গৃহহীন হয়েছেন বহু মানুষ।

চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ওয়ং ওয়েনবিন বলেন, "পাকিস্তান যে ট্রয়কা প্লাস বৈঠকের আয়োজন করেছে চীন তাকে সমর্থন করছে। আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার সাথে বৃহত্তর মতৈক্য গড়ে তোলার সকল প্রয়াসের প্রতি চীনের সমর্থন রয়েছে।"

ভারদের হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা জানাচ্ছে, ভারতের তরফে আমন্ত্রণটি চীন এমন এক সময়ে নাকচ করলো - যখন লাদাখের সীমান্তে দুই দেশের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানকে ঘিরে দিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক এখন খুবই খারাপ।

সেকারণেই আফগানিস্তানের ওপর আলোচনার জন্য চীন ভারতের বৈঠকটি বেছে না নিয়ে পাকিস্তানের বৈঠকে যোগ দিয়েছে।

কৌশলগত কারণেই পাকিস্তান এবং চীন তালেবান সরকারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে।

তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর বিদেশে আফগানিস্তানের সম্পদ জব্দ অবস্থায় রয়েছে।

তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর বিদেশে আফগানিস্তানের সম্পদ জব্দ অবস্থায় রয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, চীনের একজন বিশেষ দূত গত সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়া ও পাকিস্তানের দুই দূতকে সাথে নিয়ে কাবুল সফল করেন। 

সেখানে তারা তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।

এরপর অক্টোবর মাসে রুশ, চীনা ও পাকিস্তানী দূতেরা মস্কোতে আরেক দফা আলোচনা চালান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ্ মাহমুদ কুরেশি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফ ইসলামাবাদের এই ট্রয়কা প্লাস বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।

বৈঠকের শুরুতে মি. কুরেশি হুঁশিয়ার করেছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাহায্য না করলে আফগানিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়বে।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী তড়িঘড়ি করে সরে আসার পর ১৫ই অগাস্ট তালেবান সে দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে। 

কিন্তু এরপর বিদেশি দাতা দেশগুলো আফগানিস্তানের শত শত কোটি ডলারের বৈদেশিক তহবিল জব্দ করার পর সে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর