img

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিম্ন আয়ের পরিবারের আর্থিক বোঝা কমাতে ৭০৯ মিলিয়ন ডলারের একটি খাদ্য ভর্তুকির প্যাকেজ উন্মোচন করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, প্যাকেজটিকে 'পাকিস্তানের সর্বকালের বৃহত্তম কল্যাণমূলক কর্মসূচি' হিসাবে আখ্যা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্যাকেজটি ১২০ বিলিয়ন রুপির (৭০৯.২ মিলিয়ন ডলার), যা ফেডারেল এবং প্রাদেশিক সরকারগুলো যৌথভাবে দিচ্ছে। এতে, আমরা তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য ঘি, আটা ও ডালকে প্রাধান্য দিচ্ছি। পরিকল্পনার অধীনে প্রায় ২০ মিলিয়ন প্রাপ্য নিম্ন আয়ের পরিবার তিনটি আইটেম কেনার ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় পাবে। ফেডারেল এবং প্রাদেশিক সরকারগুলো ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বণ্টন করবে। ভর্তুকি ছয় মাস ধরে চলবে এবং  সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলোই এর লক্ষ্য।

পাকিস্তানি পরিবারগুলো সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রমবর্ধমান ভোক্তা মূল্যস্ফীতি (সিপিআই) মোকাবেলা করছে, অক্টোবরের সিপিআই এক বছরের আগের তুলনায় ৯ দশমিক ২ শতাংশে ছিল।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, গত বছরের তুলনায় মূল পণ্যের জন্য খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ঘি এর দাম ৪৩ শতাংশ, আটার দাম ১৩ শতাংশ এবং কিছু ডালের দাম ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, করোনাভাইরাস মহামারিটি দেশের অর্থনীতিতে কঠোরভাবে আঘাত করেছে। ২০২০ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্য, শক্তি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এ বছর বিশ্বজুড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। বিশ্ব খাদ্যের দাম অক্টোবরে টানা তৃতীয় মাসে বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বৃহস্পতিবার বলছে, নতুন ১০ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

ইমরান খান পেট্রোলসহ আন্তর্জাতিক দ্রব্যমূল্যের জন্য পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতিকে দায়ী করেন। তিনি দাবি করেন যে, তার সরকার বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধিতে অন্যদের চেয়ে ভালো কাজ করেছে। 'আমরা এ ব্যাপারে কি করতে পারি? বাইরে থেকে যে মুদ্রাস্ফীতি আসছে। আল্লাহ করুন যাতে আমাদের দেশে এ সমস্ত জিনিস থাকে; তাহলে আমরা দাম কমাতে পারি, তবে (আমদানি করা জিনিসগুলির জন্য নয়),' তিনি বলেন।
সূত্র : আলজাজিরা

এই বিভাগের আরও খবর