চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিয়ে করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব সরকারকে। রাকিব সরকারের স্ত্রী রয়েছে, রয়েছে সন্তানও। রাকিব সরকার গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের ছোট ভাই। এদিকে মাহিরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। মতান্তরে এটি তৃতীয় বিয়ে। 

মাহি পূর্বেই স্বামীকে ডিভোর্স দিলেও রাকিব তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে রাকিবের স্ত্রী বিষয়টি জানিয়ে বলেন, রাকিব তাকে না জানিয়েই বিয়ে করেছেন, তিনি মামলা করবেন প্রয়োজনে।  

'মাহি দ্বিতীয় বিয়ে করছেন' বেশকিছুদিন ধরেই ফেসবুকেসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন গুঞ্জন চলছিল। তবে সেসব গুঞ্জনকে মাহি 'গুজব' বলছিলেন বারবার। তবে গুজবকে রবিবার দিবাগত রাতে 'সত্য'তে পরিণত করলেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। মাহিয়া মাহি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, 'আজ ১৩.০৯.২১ ইং ১২:০৫ মি: আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হলো । এর আগের সব কথা আসলেই গুজব ছিলো । সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন এটাই একমাত্র চাওয়া।'

সম্প্রতি হলুদের পোশাকের সাথে মেহেদি রাঙানো হাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মাহি ও রাকিবের কয়েকটি ছবি। ভাইরাল হওয়া ছবিতে মাহির সাথে হলুদ পোশাকের ব্যক্তি কামরুজ্জামান সরকার রাকিবকে দেখা যায়। যা নিয়ে রবিবার কালের কণ্ঠ অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

আগের স্বামী অপুর সাথে বিচ্ছেদের পর থেকেই গাজীপুরের ওই ব্যবসায়ীর সাথে মাহির বিয়ের গুঞ্জন ওঠে। সে সময় মাহি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিয়ে হয়নি। আমরা কেবল ভালো বন্ধু। এরই মধ্যে মাহি নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ১৩ সেপ্টেম্বর সারপ্রাইজ দেবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সারপ্রাইজ দিলেন রাকিব ও মাহি।

কদিন আগে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মাহিকে, হানিমুনে নাকি? মাহি উত্তরে বলেছিলেন, 'বাবা-মায়ের সঙ্গে কেউ হানিমুনে যায় নাকি?'

এর আগে ২০১৬ সালে জমকালো আয়োজনে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পর থেকেই তার বিয়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা তিনি অস্বীকার করে আসছিলেন। এরপর গত মে মাসে মাহি নিজেই ফেসবুকে অপুর সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানান। বিচ্ছেদের পর থেকেই ঢালিউড এই অভিনেত্রীর বিভিন্ন ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় বিয়ের গুঞ্জন শুরু হয়