img

শারিরিক প্রতিবন্ধী ছেলেটি মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কিছু যুবক তাকে জুতা কেনার লোভ দেখায়। এরপর ট্রেনে ভিক্ষা করতে বলে। যাত্রীদের অনেকের বিষয়টি সন্দেহ হওয়ার তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে ছেলেটি ঘটনা খুলে বলে।

ট্রেনে ভিক্ষা করতে করতে ওই ছেলেটি নিজ বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গী থেকে চলে আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। মানবিক কারণে ট্রেন থেকে এক নারী তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পুলিশ কিংবা সমাজ সেবা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কারো কাছে তুলে দিতে আসার পর ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই ছেলের ঠিকানা বের করে তার অভিভাবককে আসতে বলা হয়েছে।

আখাউড়ার মিনারকোট গ্রামের রীনা আক্তার নামে এক নারী এ প্রতিবেদকে জানান, তিনি প্রবাসে যাওয়া সংক্রান্ত কাজ শেষে সোমবার পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকা থেকে আখাউড়ার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসছিলেন। এ সময় ট্রেনের এক অ্যাটেনটেন্ড ওই ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওনাকে অনুরোধ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ওই ছেলেকে নিয়ে পুলিশের কাছে যান। সেখান থেকে পাঠানো হয় সমাজ সেবা কার্যালয়ে। এক পর্যায়ে ওই ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক মৌসুমী আক্তারের সহযোগিতায় হাসপাতালে নেয়া হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘ছেলেটি তার নাম ঠিকানা সবই বলেছে। জুতা কেনার লোভ দেখিয়ে তাকে ট্রেনে ভিক্ষা করানো হয়। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে স্যালাইন দেন। স্থানীয় একজন সাংবাদিককে সার্বিক বিষয় অবহিত করা হলে তিনি আখাউড়া ও টঙ্গী থানার থানার ওসি এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা শেখ মো. ইয়াছিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন আখাউড়ায় আসতেছেন বলে জানিয়েছেন টঙ্গীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরু মিয়া।’

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান সন্ধ্যায় বলেন, ছেলেটিকে দেখভাল করার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তার ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিভাবক এলে তাদের হাতে ছেলেটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর