img

বাংলাদেশের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আটক হওয়ার পর থেকে তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। আর এনিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি পরীমনিকে ‘টাক্ষক’ করে কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন যে অবস্থাটায় বাস করছি, এটা একটা ছদ্মবেশী বাকশাল। আমাদের সাংবাদিকদের ভাইরা কেউ নিজেরাই লেখেন না, সেলফ সেন্সরশিপ করছেন। কেন? যদি একটা শব্দ, একটা বাক্য যদি এদিক-ওদিক হয়, তাহলে আবার তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে জেল এবং নন-বেইল, এই একটা অবস্থা। মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে নানা ঘটনার অবতারণা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল। 

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন আমাদের পত্র-পত্রিকাগুলোও ওই লাইনে চলে গেছে। যেইটা ইস্যু না- কোথাকার কোন পরীমনি, ওমুক মনি- এসব নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তেছে এবং ওটাকে বড় করে হেডলাইন করে..।’ পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের অসন্তোষ প্রকাশের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘কিন্তু যখন আমাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয় নিয়ম ব্যতিক্রম করে, যখন রাজনৈতিক নেতাদেরকে অত্যাচার করা হয় রিমান্ডের মধ্য দিয়ে, সেই সম্পর্কে কিন্তু তারা কথা বলে না।’

তিনি বলেন, যে দেশের জন্য আমরা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছি, সেই বাংলাদেশকে তারা একটি একনায়কতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমাদের অধিকারগুলোকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। আবার ৫০ টাকা কেজির নিচে মোটা চালও পাওয়া যাচ্ছে না। এই অত্যাচার কী চলতেই থাকবে? না। এ রকম চলতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এসব ইস্যু তৈরি করে। গণতন্ত্র হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ কোনোদিন গণতন্ত্র বিশ্বাস করেনি বলে আজকে দেশের এ অবস্থা। তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেন, ৭০ সালে তারা বলেছিল গণতন্ত্র দেবে, আট আনা কেজি চাল খাওয়াবে। তখন তারা বলেছিল, সোনার বাংলা শ্মশান কেন। এই পোস্টারও তখন ছাপিয়েছিল। এসব বলে ৭০ সালে পাস করেছিল। পরে ৭১ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হলো- তখন তারা সব পালিয়েছে এবং আত্মসমর্পণ করল। এটা ইতিহাস। এ সময় তিনি আরো বলেন, এখানে আমি ও জাফরুল্লাহ ভাইসহ যারা বসে আছি- সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করিনি।

ফখরুল বলেন, আজ মানুষকে বাঁচাতে হলে টিকা দরকার। আপনারা কতটুকু টিকা জোগাড় করেছেন। চার শতাংশও যোগাড় করতে পারেননি। কিন্তু প্রতিদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, এই আসছে পাঁচ লাখ, এই আসছে ১০ লাখ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চার ভাগের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়নি। কারণ তারা দুর্নীতির কারণে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের মাথার মধ্যে সব সময় থাকে কোনটিতে কমিশন বেশি পাব।

এই বিভাগের আরও খবর