img

শত বছরের পুরনো আইনকে যুগোপযোগী করতে 'মহাসড়ক আইন-২০২১' নামের একটি বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

বিলটি আইনে পরিণত হলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচালে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী সব স্থাপনা উচ্ছেদ ও সড়কের জমি উদ্ধার করা হবে। মহাসড়কের পাশে হাট-বাজার বসতে পারবে না। অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করা হবে। মহাসড়কে সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড এবং তোরণ নির্মাণে শাস্তি পেতে হবে।

আজ শনিবার (৪ আগস্ট) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইন পাস হলে হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও নির্মাণে বিদ্যমান 'দ্য হাইওয়ে অ্যাক্ট-১৯২৫' রহিত হবে।

সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, 'একটি আধুনিক, উন্নত, কার্যকর মহাসড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপদ ও গতিশীল যানবাহন চলাচল, মহাসড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী মহাসড়ক নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি তোলার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।'

প্রস্তাবিত আইনের ৯ ধারায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া মহাসড়কে যেকোন অবকাঠামো স্থাপনকে 'অনুপ্রবেশ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অপরাধের জন্য বিলের ১৪ ধারায় সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে ক্ষতিকারক উপাদান ছড়িয়ে দেয় এমন মোটরগাড়ি মহাসড়কে চলানোর অপরাধে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। মহাসড়কে ফসল, খড় বা অনুরূপ উপকরণ শুকানোর জন্য রাখা হলে বা অনির্ধারিত জায়গা দিয়ে চলাচলের অপরাধে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। মহাসড়কে ঝুলন্ত বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ও তোরণ নির্মাণ বন্ধের বিধান অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

ওই বিলে বলা হয়েছে, সরকারি বা বেসরকারি ইউটিলিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারবে না। করলে তাদেরকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। 'মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯'  অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট এই আইনের উল্লিখিত শাস্তি প্রদান করবে। প্রতিবন্ধী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের চলাচলে মহাসড়কে নির্দ্দিষ্ট স্থান রাখার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে।

এই বিভাগের আরও খবর