img

“এ ব্যথা কী যে ব্যথা বোঝে কি আনজনে? / সজনী আমি বুঝি মরেছি মনে মনে…”- তবে মনের ব্যথা বেশি সময় ধরে মনে রাখতে নেই। তাতে অনুভূতিগুলি ভোঁতা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইদানীং মানুষের মানসিক সমস্যা বেড়েছে। আধুনিক জীবনের ইঁদুর দৌড়, সম্পর্কের জটিলতা কিংবা অতিমারী পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতা, কারণ যাই হোক, তার প্রভাব সরাসরি মনের উপর পড়তে থাকে। আর এতেই যত বিপত্তি।

ক্রমাগত মানসিক চাপ মনকে যেন অন্তসারশূন্য করে দেয়। দুঃখ, আনন্দ, প্রেম, ভালবাসা থেকে ভাললাগা – কোনও অনুভূতিই যেন আর থাকে না। আবার অনেকের মনের কোণে আবেগ জমা থাকলেও তা বলে উঠতে পারেন না। আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে ইংরাজিতে ইমোশনাল ব্লান্টিং (Emotional Blunting) বা জিরো ইমোশন (Zero Emotions) বলে।

কী এই জিরো ইমোশন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন একটি মানসিক স্থিতি যেখানে কোনও আবেগের অস্তিত্ব থাকে না। সমস্ত অনুভূতি যেন ভোঁতা হয়ে যায়। হাসির কথায় হাসি পায় না, দুঃখ পেলে কান্না আসে না, আবার নতুন কিছু শুনলে উৎসাহ জাগে না।

Emotional Blunting

কোন কোন কারণে এই অবস্থা হতে পারে?

  • সাধারণত মানসিক অবসাদে (Mental Depression) যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। মনের ভিতরটা যেন খালি হয়ে যায়।
  • পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার বর্তমান জীবনের একটা বড় সমস্যা। শোনা যায়, আমাদের মন থেকে নাকি অত্যন্ত ব্যথার স্মৃতিগুলি মুছে যায়। আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেকে অনুভূতিশূণ্য হয়ে পড়েন।
  • অনেক সময় মানসিক অবসাদ কাটাতে যে সমস্ত ওষুধ দেওয়া হয়, তার প্রভাবেও রোগীরা আবেগহীন হয়ে পড়েন।
  • অতিরিক্ত মদ কিংবা মাদক শরীরের পাশাপাশি মনেরও মারাত্মক ক্ষতি করে। এর প্রভাব সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে পড়ে। সেক্ষেত্রে মানুষ জিরো ইমোশন স্তরে পৌঁছে যায়।

Zero Emotions

এর প্রতিকার কী?

এই সমস্যার সমাধানের জন্য মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তার আগে অবশ্যই পরিবার, বন্ধু কিংবা কাছের মানুষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন, কারণ তাঁরাই আপনার ব্যবহারের পরিবর্তন সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারবেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর