img

মাঠে নামলেই রেকর্ড গড়েন। না নামলেও রেকর্ড গড়েন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ এই যুবরাজকে ভালোবেসে 'গোল মেশিন' বলে ডাকেন ভক্তরা। এই ৩৬ বছর বয়সেও গোল করার ক্ষেত্রে তরুণদের চেয়েও যোজন যোজন এগিয়ে তিনি। 

দল ভালো না করলেও রোনালদো ঠিকই গোল পেয়ে থাকেন। গত জুনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও সেটাই দেখা গিয়েছিল। দল শেষ ষোল থেকে ছিটকে পড়লেও সেই টুর্নামেন্টে রোনালদো করেছিলেন পাঁচ গোল। আর তখনই ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ইরানি কিংবদন্তি আলি দাইর বিশ্বরেকর্ড। অপেক্ষা ছিল শুধু আর একটিমাত্র গোল করে আলি দাইকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গোলের বিশ্বরেকর্ডটা একান্তই নিজের করে নেওয়ার।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) ঘরের মাঠ ফারো–লোলের এস্তাদিও আলগারভেতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেটাই করলেন ক্রিশ্চিয়ানো। জোড়া গোল করে সেই বিশ্বরেকর্ডের মালিক হলেন তিনি, যা লিওনেল মেসি, নেইমার, কিংবদন্তি পেলে, ম্যারাডোনা কারো নেই।

ইউরোয় করা পাঁচ গোল রোনালদোকে সমতায় নিয়ে এসেছিল আলি দাইর সঙ্গে।  দু’জনের গোল ছিল ১০৯টি করে। বুধবার রাতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন রোনালদো। এটি ছিল সমতাসূচক গোল। এ গোল দিয়েই দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি নিজের করে নেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। এরপর যোগ করা সময়ে ফের একটি হেডার থেকে জোড়া গোল পূর্ণ করেন। অন্তিম সময়ের দুই গোলে তার দল পর্তুগালও পেল দারুণ এক জয়।

শেষ গোলের ফলে আন্তর্জাতিক গোলের বিশ্বরেকর্ড পেল নতুন এক উচ্চতা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল ১১১টি, বিশ্বরেকর্ডটাও। পর্তুগালের জার্সি গায়ে ২৭বার ম্যাচে একাধিক গোল করেছেন রোনালদো। রয়েছে নয়টি হ্যাটট্রিক। দুটো ম্যাচে চারটি করে গোল করেছেন তিনি।

ম্যাচের পরিসংখ্যানে অবশ্য রোনালদো কিছুটা পিছিয়ে আছেন। দেশের হয়ে ১৮০টি ম্যাচ খেলে ১১১টি গোল করলেন রোনালদো। আলি দাই খেলেছিলেন ১৪৯টি ম্যাচ। পুরুষ ফুটবলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৯০ এর বেশি গোল আছে কেবল দাই ও রোনালদোর।

বর্তমান দুনিয়ার আরেক সেরা খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ১৫১ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৭৬টি গোল করেছেন। আর এ পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে ১১১ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে নেইমারের গোলসংখ্যা ৬৮। অর্থাৎ দেশের হয়ে খেলায় মেসি-নেইমার থেকে অনেক এগিয়ে আছেন রোনালদো।

তথ্যসূত্র: গোল ডট কম।

এই বিভাগের আরও খবর