img

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সর্দি-কাশি-হাঁচি লেগেই থাকে। তবে অনেকেরই আবার ঠান্ডা লাগা বা সর্দি ছাড়াও হাঁচি হয়। আর একবার হাঁচি শুরু হলে সহজে তা থামতে চায় না। ক্রমাগত হতেই থাকে, ফলে অস্বস্তিও লাগে। অ্যালার্জি বা অন্যান্য অনেক সমস্যার কারণে এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। কিন্তু কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি আটকানো যেতে পারে হাঁচি। 

টাং টুইস্টার

যে ধরনের বাক্য বলতে গেলে জিভ জড়িয়ে যায়, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘টাং টুইস্টার', যেমন - ‘জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা', ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়',ইত্যাদি। এই ধরনের বাক্য একটানা বলে যান। কখন হাঁচি থেমে যাবে বুঝতেই পারবেন না!

ভিটামিন সি

কমলালেবু এবং পাতিলেবু জাতীয় সাইট্রাস ফলগুলিতে ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। ফ্ল্যাভোনয়েডস অনাক্রম্যতা তৈরি করতে এবং ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ভিটামিন সি হয়তো আপনাকে তৎক্ষণাৎ স্বস্তি দিতে পারবে না, তবে ধীরে ধীরে হাঁচি কমিয়ে দিতে পারে। আমলিকও খেতে পারেন, এটি ভিটামিন সি ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ।

মধু

মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি, তা সকলেরই জানা। এটি সর্দির হাঁচির পাশাপাশি অ্যালার্জির কারণে হওয়া হাঁচিও অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ করতে পারে। হাঁচির সময় এক চামচ মধু খান, স্বস্তি মিলতে পারে।

বাষ্প নেওয়া

হাঁচির কারণ যদি সর্দি হয়, তা হলে বাষ্প সেই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। কোভিডের সমস্যা থেকে বাঁচতেও চিকিৎসকরা তা নেওয়ার পরামর্শ দেন। বড় পাত্রে ফুটন্ত পানি নিয়ে উপরে তোয়ালে ঢাকা দিয়ে বাষ্প নেওয়ার পদ্ধতি খুবই কাজের। হালে বিদ্যুৎচালিত বাষ্প নেওয়ার যন্ত্রও পাওয়া যায়। সর্দির হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে এই পদ্ধতি অনেকেরই কাজে লাগে।

ইউক্যালিপটাস তেল

কোনও একটা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো বা রুমালে তিন ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিন। হাঁচি শুরু হলে এটি ক্রমাগত শুঁকতে থাকুন। এই তেলের গন্ধেও হাঁচি থেমে যায়!

নাক টিপে ধরুন

হাঁচি বন্ধ করার এটি অন্যতম উপায়। হাঁচি পেলে দুটো আঙুল দিয়ে নাক টিপে ধরুন। নাকে কোনও বাজে গন্ধ ঢুকলে যেমনভাবে নাক টিপে ধরেন, ঠিক তেমনভাবে করুন। এতেও হাঁচি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর