img

উত্তরাঞ্চলীয় বগুড়ায় ৫ জনকে আটক করে পুলিশ বলছে তারা টিকটক ভিডিওতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করেছেন।

বগুড়া সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদেরকে জাতীয় সঙ্গীতকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

আটকৃতদের মধ্যে একজন দশম শ্রেণির ছাত্র। তবে পুলিশ দাবি করছে, এদের সবার বয়সই আঠারোর উর্দ্ধে।

ঢাকায় পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বলা হচ্ছে, এদেরকে গত রাতে অভিযান চালিয়ে বগুড়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। 

আটককৃতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হচ্ছে?

আটক পাঁচ জনকে বগুড়া সদর থানাতেই রাখা হয়েছে এখন পর্যন্ত। 

সেখানকার পুলিশ বলছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলার করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

ঢাকায় পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি বলছে, তাদের কাছে এক ব্যক্তির পাঠানো ফেসবুক মেসেজের সূত্র ধরে তারা বগুড়ার পুলিশ এই পাঁচজনকে আটক করেছে। 

কোন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, এ ব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। 

তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুটি আইনের কথা উল্লেখ করা হয়, এর একটি হচ্ছে 'দ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যানথেম. ফ্ল্যাগও অ্যান্ড এমব্লেম অর্ডার ১৯৭২' যেটি মূলত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীকসমূহের সম্মান সুরক্ষিত রাখতে প্রণীত একটি আইন। 

এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথাও উল্লেক করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

টিকটকের ভিডিওতে যা আছে:

টিকটকের যে ভিডিওটির জের ধরে পাঁচজনকে আটক করা হয়, সেটিকেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সাথে পাঠিয়েছে পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা। 

এতে দেখা যায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারের সামনে সটান দাঁড়িয়ে পাঁচ জন ব্যক্তি একটি হিন্দি ভাষার গানের সাথে ঠোঁট মেলাচ্ছেন। 

ওই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে এবং ক্যাপশনে একজন লিখেছেন, স্কুল খোলার শিক্ষক বললেন, "বাচ্চারা জাতীয় সঙ্গীত গাও"।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। 

সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয় দ্রুত বিদ্যালয় খুলে দেবার উপায় খুঁজছে বলে খবর বেরিয়েছে পত্র পত্রিকায়। 

টিকটক কী:

ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার একটি অ্যাপ টিকটক। চীনের তৈরি এই অ্যাপটি বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই তরুণদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে এটিকে নিয়ে বিতর্কও কম নেই।

বিশ্বব্যাপী অ্যাপ ডাউনলোড চার্টের শীর্ষের দিকে রয়েছে টিকটক। টিকটকের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বব্যাপী আশি কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে টিকটকসহ অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যাপ কেন বন্ধ করা হবে না সে বিষয়ে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। 

একই সাথে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেমসগুলো সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর