খুলনায় হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর
দক্ষিণাঞ্চলীয় খুলনার রূপসা উপজেলার একটি গ্রামে কয়েকটি মন্দির এবং স্থানীয় হিন্দু মালিকানাধীন কিছু দোকান ভাংচুর করার ঘটনায় দশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে উপজেলার শিয়ালি গ্রামে।
গ্রামটির হিন্দু অধিবাসীরা বলছেন, হামলকারীরা অন্তত চারটি মন্দির এবং ভেতরে থাকা প্রতিমা ভাংচুর করেছে। পুলিশ অবশ্য হামলার শিকার হওয়া মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনার সংখ্যা নিশ্চিত করেনি বিবিসিকে।
প্রশাসন থেকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। রূপসা থানার পুলিশ বলছে শনিবার রাতেই এ নিয়ে একটি মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।
তবে মামলাটিতে কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরদার মোশাররফ হোসেন বলছেন, "এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে"।
'ভুল বোঝাবুঝি'
রূপসার ইউএনও ও থানার ওসি দুজনেই বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদে নামাজ চলার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা 'গান-বাজনা' করছিলেন অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয় যেটাকে তারা 'ভুল বোঝাবুঝি' বলে বর্ণনা করছেন।
তবে রূপসা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বলছেন, ওই দ্বন্দ্বের সমাধান সেদিনই হয়ে গিয়েছিল এবং ঐদিনের ঘটনার সাথে শনিবারের হামলার সম্পর্ক নেই।
ইউএনও রুবাইয়া তাছনিম বলেন, শুক্রবারের ঘটনার পরপরই প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
"আমরা জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা সাথে সাথে সেখানে যাই এবং স্থানীয়দের সাথে বৈঠক করে দ্বন্দ্বের মিটমাট করি"।