img

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী বিষখালী নদীর পাড়ে সংস্কারের অভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) দেওয়া পৌর শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছে। এতে এখানকার ভাগ্যাহত মানুষের কপাল পুড়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে গত চারদিনের ভারি বর্ষণ ও বিষখালী নদীতে জোয়ার পানিবৃদ্ধির কারণে আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্লক ধসে বাঁধটি নদীতে বিলীন হতে আর সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৫ জুন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী (কর্ণেল অব.) জাহিদ ফারুক শামীমসহ অনেকে একাধিকবার সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস। বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ শওকত হাচানুর রহমানের জাতীয় সংসদে পাউবোর শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। কিন্তু এসব কেবল আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি।

স্থানীয় একাধিক মানুষ  অভিযোগ করেন, মন্ত্রী, সচিব, উর্চ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন সময়ে যদিও বাঁধের ব্লক রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু তাদের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করেন না।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্লক ধসে জোয়ারের লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছপালা বিশেষ করে ফলজ বৃক্ষের পাতাগুলো পুড়ে আঙ্গার হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের প্রায়ই অভুক্ত কাটাতে হয়।

বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ এ বি এম গোলাম কবির বলেন, নানা জটিলতায় বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি আটকে ছিল। ইতোমধ্যে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহররক্ষা বাঁধের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন। আশা করি শিগগিরই এ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন হলে আমরা কাজ শুরু করতে পারব।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণের জন্য আমরা একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ওই প্রকল্পে বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রকল্প অনুমোদন পেলে বেতাগী শহররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করবো। জেলার চারটি ভাঙন কবলিত স্থানকে একটি প্রকল্পের আওতায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি গত জুন মাসে মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর