img

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলা পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। পৌরসভার চার-তৃতীয়াংশ হাঁটু ও কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটের ওপর হাঁটুপানি আর বাড়িঘরে কোমর সমান। অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে ড্রেন ও খাল। পানি নামানোর কোনো অবস্থাই নেই। ভাটার সময় খাল দিয়ে সামান্য পানি নামলেও অতি বৃষ্টিতে তা আবার বাড়ছে। প্রায় ৩-৪ ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি। জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশু হাসপাতাল রোড ও কামারডাঙ্গা এলাকায়। এ ছাড়া পৌরসভার ৩, ৪, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানিতে তলিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র শেখ আ. রহমান।

বুধবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেল থেকে বৃস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহসিন, মো. বাদল, ইউসুফ, বাহাদুর, তোফায়েল হোসেন বলেন, তিন দিনের বৃষ্টিতে যে পানি হয়েছে, ১৯৮৮ সালের বন্যায় এত পানি হয়নি। তখন খাটে পানি ওঠেনি। এখন খাটের ওপরেও পানি। সব ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট পানির নিচে। রান্নাবান্না বন্ধ, ঘরে থাকার উপায় নেই। তাই অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

পৌর মেয়র শেখ আ. রহমান বলেন, পুরো পৌরসভা এখন পানির নিচে। স্মরণকালের বৃষ্টিতে যে জলাবদ্ধতা হয়েছে তাতে এখন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গতের জন্য খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত পানি সরানোর কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, বৃষ্টিতে উপজেলার সর্বত্র তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার মানুষ। বৃষ্টিতে তলিয়ে ভেসে গেছে ১ হাজার ঘেরের বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছ। জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে যারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন, তাদেরকে সেখানে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে পানিবন্দি লোকজন ও তলিয়ে যাওয়ার ঘেরের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর