img

সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি চাকরিজীবী অবসরে যাওয়ার পর গুরুতর অপরাধে বা অসদাচরণে অভিযুক্ত হলে তাঁর পেনশন বাতিল বা আংশিক কেটে রাখা বা স্থগিত করার ক্ষমতা সরকারের আছে। আইনের ৫১(৪) ধারায় থাকা উপধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবটি উঠলে তা নাকচ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অর্থাৎ অবসরে গিয়ে অপরাধে যুক্ত হলে সংশ্লিষ্টদের পেনশন বাতিল, স্থগিত বা কেটে রেখে শাস্তি দিতে পারবে সরকার।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার নিয়মিত এই বৈঠক হয়। এতে সীমিতসংখ্যক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন প্রস্তাব বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আইনের ৫১(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।’ এই ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ক্যাবিনেট সেটা গ্রহণ করেনি। অর্থাৎ ক্যাবিনেট বিদ্যমান উপধারাটিই বহাল রেখেছে।

গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বার কাউন্সিল আইনের সংশোধনের একটি প্রস্তাবে সায় দিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর বাইরে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (এপ্রিল-জুন) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, গত বছরের একই সময়ের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের চেয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বেশি হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠালেও সেটি অনুমোদন হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ইংল্যান্ড বের হয়ে যাওয়ায় চুক্তিটি নতুন করে খসড়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এই বিভাগের আরও খবর