বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিল জিম্বাবুয়ে
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে স্বাগতিকরা। সিরিজের শেষ তথা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া টাইগারদের বোলিং লাইনআপ যে একেবারেই ছন্নছাড়া, তা আরও একবার দেখা গেল। তিন পেসার তাসকিন, সাইফউদ্দিন, শরীফুল এবং মেহেদী হাসানের জায়গায় নামা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ বেদম মার খেয়েছেন। একমাত্র সাকিবকেই একটু বুঝেশুনে খেলেছে জিম্বাবুয়ে।
মাত্র ২৬ বলে জিম্বাবুয়ের স্কোর পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। অবশেষে দলীয় ৬৩ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয়। ২০ বলে ২৭ করা মাররুমানিকে বোল্ড করে দেন এই পেস বোলিং অল-রাউন্ডার। এতেও জিম্বাবুয়ের রানের গতি কমেনি। উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন রেগিস চাকাভা। আরেক ওপেনার মাধভেরেও দাপটে ব্যাটিং করছিলেন। ৩১ বলে ৫৯ রানের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার।
১২তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন শামিম হোসেন পাটোয়ারী। বল বাউন্ডারির লাইনের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই শূন্যে লাফিয়ে বল ভেতরে ঠেলে দেন নাঈম। এরপর শূন্যে ভেসে থাকা বল কিছুটা দৌড়ে গিয়ে তালুবন্দি করেন শামিম।
এভাবেই শেষ হয় ২২ বলে ৬ ছক্কায় চাকাভার ৪৮ রানের ইনিংস। যিনি নাসুমের এক ওভারে ৩টিসহ সাকিবের ওভারেও ছক্কা মেরেছেন। নাসুমের আগের ওভারে তো রিভার্স সুইপে ছক্কা মারেন তিনি! একই ওভারের পঞ্চম বলে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ফেরান সৌম্য। এই তারকা অল-রাউন্ডার দুই বল করে 'ডাক' মারেন।
রাজার বিদায়ের জিম্বাবুয়ের রানের চাকা সচল রাখেন মাধেভেরে। মাত্র ৩১ বলে ফিফটির দেখা পান এই ওপেনার। তবে এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। সাকিবের করা ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা শরিফুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে তার আগে মাধেভেরের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪ ছক্কায় ৫৪ রানের ইনিংস।
শেষদিকে ফের বিশাল রান খরচ করেন সাইফউদ্দিন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রায়ান বার্লের কাছে ১ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। ওই ওভারে তার খরচ ১৯ রান। তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই ডিয়ন মায়ার্সকে (২৩) নাসুম আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে থামান শরিফুল। ওই ওভারে রান আসে মাত্র ২টি। কিন্তু সাইফের করা শেষ ওভারে ফের বার্ল ঝড়ে আসে ১৬ রান। শেষ দশ ওভারেই আসে ৯২ রান।