img

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আমাদের দেশে শীতকালে ধুলাবালু বেশি থাকার কারণে চুলে খুশকি হয় বেশি। খুশকির প্রভাবে মাথায় প্রচণ্ড চুলকানি ছাড়াও চুল নিয়মিত পড়তে পারে। খুশকি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। খুশকির জন্য যদি ব্যক্তিবিশেষে রোগগুলো নির্ণয় করে চিকিৎসা করা হয়, তবে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, জীবনযাপন প্রণালির মধ্যেই লুকিয়ে আছে সুস্থ থাকার সব উপাদান। সুস্থ জীবনযাপনই আপনাকে খুশকি থেকে দূরে রাখতে পারে।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। মাথার ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। চর্বিজাতীয় খাবার খুশকি রোধে সহায়তা করে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি বেশি হয়। ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখা যাবে না। যাঁদের খুশকি বেশি হয়, তাঁরা প্রতিদিন চুলে পরিমিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার

বাইরে বের হলে ধুলাবালু রোধে মাথায় স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহার করতে পারেন। অন্যের চিরুনি ব্যবহার করবেন না। তাতে আপনার মাথাতেও খুশকি সংক্রমিত হতে পারে।

খুশকি দূর করার ১০টি টিপস

  • আমলকী ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।
  • দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর এক কাপ পানিতে এক চা–চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। খুশকি দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। 
  • তিন থেকে পাঁচ টেবিল চামচ নারকেলের তেল নিয়ে মাথার ত্বকে ভালোমতো লাগান। এক ঘণ্টা পর মাথা ধুয়ে ফেলুন এবং তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
  • প্রথমে পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। এরপর মাথার ত্বকে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা ঘষে নিন। তারপর চুল ধুয়ে নিন। তবে বেকিং সোডা ব্যবহারের পর চুলে শ্যাম্পু লাগাবেন না। খুশকির জন্য দায়ী ছত্রাকগুলোর ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বেকিং সোডা। ফলে প্রাথমিকভাবে চুলে একটু শুষ্ক ভাব দেখা দিতে পারে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ধীরে ধীরে চুল আবার আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
  • বাসায় সপ্তাহে অন্তত দুইবার নারকেলের তেল হালকা গরম করে চুলে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এরপর চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিতে হবে। তাহলে চুলের খুশকি দূর হবে।
  • যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের নিয়মিত অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
  • মৌরি এবং সমপরিমাণ পানি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন ভালোমতো বেটে মাথার ত্বকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি ভালো কাজ করে।
  • শীতকালে মাথার শুষ্ক ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুশকি বেড়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দেড় টেবিল চামচ মেথি ও দেড় টেবিল চামচ শুকনা আমলকী এক কাপ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর বেটে ফেলুন। এরপর এর সঙ্গে মেশান দুই-তিন চা-চামচ মধু। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি যেমন দূর হবে, তেমনি চুলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে উপাদানগুলো সঠিক পরিমাণে নেওয়া খুব জরুরি।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর