img

'বঙ্গবন্ধু আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন, আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি।' 

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২ বছর- অর্থাৎ এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন, আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন।' তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অন্যদিকে  এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনার মর্মমূলে আঘাত করে একটি মহল সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিতে চায়।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'গত এক যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। এ সময় দেশে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে। জনগণের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। চাল উৎপাদন, সবজি উৎপাদনে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে। জনবল রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। শিল্পক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এ পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতবর্ষ ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন।'

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দলের শৃঙ্খলা মেনে ঐক্যবব্ধ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ দলে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য নয়। নিয়ম-শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করলে কেউ পার পাবেন না, সে যেই হোন। দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষায় শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।'

সভায় বিএনপির তীব্র সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি নেতারা) দেশের অগ্রগতি দেখতে পারে না। দেশকে এগিয়ে যাওয়া দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। এ দেশের মানুষ নীতিহীন ও স্বপ্নহীন রাজনীতি বারবার বর্জন করেছে। তাদের রাজনীতি লক্ষ্যহীন, স্বপ্নহীন। একমাত্র উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখল। কিন্তু যতক্ষণ শেখ হাসিনা জনমানুষের পাশে আছেন, ততক্ষণ কোনো অপশক্তিই দেশকে পিছিয়ে দিতে পারবে না।'

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর