img

দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগেই শ্বশুরের অসুস্থতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরের সঙ্গে দেখা হয়নি। তিনি যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছতে পৌঁছতেই তিনি মারা যান। শোক সয়ে অবশ্য নতুন বছরে পরিবারে নতুন অতিথি আসার খবরই দিয়েছেন। আজ ঢাকায় এসেই সাকিব তাঁর অনাগত সন্তানের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।

সন্তান আসার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তিনি, ‘নতুন সন্তানের খবর আনন্দের। সবার দোয়া চাই বাচ্চা যেন সুস্থ থাকতে পারে।’

সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সেটি দিয়েই হতে যাচ্ছে সাকিবের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন। গত অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজটি হলে তা হতে পারত সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার মঞ্চ। এ জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেছিলেন বিকেএসপি। সেটি অবশ্য ছিল টেস্ট ঘিরেই। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফর না হওয়ায় পিছিয়ে যায় সাকিবের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে পাখির চোখ করেছেন সাকিব, ‘এবারের ফেরাটা আলাদা৷ শ্রীলঙ্কা যেতে পারিনি। সেটি ছিল হতাশার৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধন্যবাদ যে তারা আসছে৷ সিরিজটি খেলতে মুখিয়ে আছি।’

তবে এক বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই যে চেনা ছন্দে পারফর্ম করবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো সাকিব নিজেই করছেন না, ‘আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি ভেবে ভালো লাগছে৷ কোন চাপ নেই৷ তবে ব্যাপারটা সহজ হবে না আমার জন্য৷ চেষ্টা করব আগের জায়গায় ফেরার৷’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ঝাঁক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আবার করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশ সফরে আসছেন না। প্রায় নতুনদের নিয়ে দল সাজানো ক্যারিবীয় দলকে কিছুটা দুর্বলই দেখাচ্ছে। তবে এটি বাংলাদেশের ওপরও বাড়তি চাপ তৈরি করে দিচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকজন তারকা না থাকায় বাংলাদেশের ওপর আছে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা। সাকিব সেটিই সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যদি আমরা যদি ভালো না করি তা হতাশার হবে।’

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর