img

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত একজন হাইকমিশনার ও দুজন রাষ্ট্রদূত তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। দূতগণ হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার জোয়েল সিবুসিসো দেবেলে, ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত তিজিতা মুলুগেতা ও কাজাখস্তানের রাষ্ট্রদূত ইয়ারলান আলিমবেইভ।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বঙ্গভবনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয় এ নীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।

রাষ্ট্রপতি বর্তমান করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কাজাখস্তানের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং বিশ্বকে করোনামুক্ত করতে সকল দেশ ও সংস্থা একযোগে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কাজাখস্তান সরকারকে বাংলাদেশে স্থায়ী মিশন স্থাপনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পারস্পরিক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বহুপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারিত হবে এবং দেশের জনগণ উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ ওষুধ, পোশাক, সিরামিকস, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে উৎপাদন করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়াতে রাষ্ট্রদূতদের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার জন্যও তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন। রাষ্ট্রদূতেরা তাদের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।

এই বিভাগের আরও খবর