দরপতন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে
-1605699486.jpg)
এক দিন পরই দরপতন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে। গত সোমবার মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্না দাবি করে যে তাদের টিকা প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। আর এ সংবাদ ওয়ালস্ট্রিটের সূচক বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যায়। তবে গতকাল মঙ্গলবার ঘুরে গেছে পরিস্থিতি। দরপতন হয়েছে সূচকগুলোর। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা একটি কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন। তা হলো ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদের জন্য সুসংবাদ হলেও এখনই তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রভাব কম। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তীব্র আকার ধারণ করেছে। শীতের মধ্যে এই প্রকোপ আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন এলাকায় আবারও কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের ডাও জোন্স সূচক ১৬৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। সোমবার সূচকটি বেড়েছিল ৪৩০ পয়েন্ট। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ গতকাল কমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, নাসডাক কমেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে গতকালের পতনের পেছনে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও প্রভাব ফেলেছে। নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ খুচরা বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছিল তা হয়নি। অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, শীতজুড়েই হয়তো ভোক্তা ব্যয় কম থাকবে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেই সঙ্গে প্রণোদনার নতুন তহবিল না হওয়া পর্যন্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন তাঁরা। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, মহামারির আগের অবস্থায় অর্থনীতি ফিরে যেতে পারবে না। তবে একটি নতুন ও আলাদা অর্থনীতিতে যাব।
তবে এশিয়ার পুঁজিবাজারে আজকে ওয়ালস্ট্রিটের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। জাপানের নিকেই সূচক বাদে বেশির ভাগ শেয়ারবাজারেই সূচক বেড়েছে। জাপানের নিকেই কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। বেড়েছে হংকংয়ের হ্যাংসেং, চীনের সাংহাই কম্পোজিট, তাইওয়ানের তাইপে ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধান সূচক।
জিরোআওয়ার২৪/এমএ