img

গৃহসজ্জায় কোন ধরনের পাত্রে বা কোন ধরনের টবে গাছ রাখবেন, তার ওপর নির্ভর করে সৌন্দর্য। সাধারণত টব বলতে ভাবনায় চলে আসে গতানুগতিক মাটির টব। মাটির টবও বিভিন্ন নকশা ও আকৃতির কারণে নান্দনিক হয়ে উঠেছে। চারকোনা থেকে শুরু করে গোলাকার, নয়তো লম্বা—বিভিন্ন আকৃতির টব পাওয়া যায়, যেগুলো অনায়াসে বাসার ভেতর এবং বাইরে ব্যবহার করা যেতে পারে। মাটির টব না চাইলে রঙিন প্লাস্টিকের টবও মন্দ নয়।

কাচ ও সিরামিকের টব

সিরামিক নয়তো কাচের বিভিন্ন আকারের টব, বোতল, বয়ামে গাছ রাখা যায় বসার ঘর বা খাবার ঘরে। অন্যান্য ঘরে ছোট আকারের গাছও রাখতে পারেন। ছাদ বা বড় বারান্দায় বড় গাছের জন্য সিমেন্ট-বালুর টব বানিয়েও নেওয়া যাবে। ওপরে ছোট রঙিন পাথর বসিয়ে দিতে পারেন অথবা টুকরো টালি বসিয়ে নিলে নান্দনিক দেখাবে।

কোন টবের কেমন যত্ন, জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবুজ কথন গ্রুপের অ্যাডমিন মারুফ খান। তাঁর মতে, যেমন টবেই লাগানো হোক না কেন, টবের তলায় অবশ্যই ছিদ্র থাকতে হবে। তাতে যেমন গাছের জন্য উপকার হয়, টবের জন্যও। গাছের জন্য সবচেয়ে ভালো, মাটির টব। আবার একইভাবে সিমেন্ট-বালুর তৈরি

রোদ পড়ে না এমন স্থানের জন্য উপযুক্ত টব প্লাস্টিক। অতিরিক্ত রোদে থাকলে প্লাস্টিকের টবের রং হালকা হয়ে যায় আর টবও হয়ে পড়ে ভঙ্গুর। ময়লা হয়ে গেলে টবটি সাবান-পানিতে ধুয়ে ফেললেই চকচকে হয়ে যাবে। যাঁরা দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের টব বাগানে রাখতে চান, বেছে নিতে পারেন ফলের ঝুড়ি নয়তো কেটে নিতে পারেন তেলের বোতল। ফলের ঝুড়িকে টবে রূপান্তর করতে চাইলে মাটি দেওয়ার আগে পলিথিন ব্যাগ, নাহলে সারের বস্তা বিছিয়ে নিতে ভুলবেন না।

নারকেলের মালসা, বাঁশ বা কাঠের টবের গাছে পানি কম দিতে হয়। বৃষ্টির পানি পড়ে বা কড়া রোদ পড়ে, এমন স্থানে এসব টব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পিতল, কাঁসা বা অন্য যেকোনো উপাদানের তৈরি সৌন্দর্যবর্ধক টবে সরাসরি গাছ লাগানো উচিত নয়। অন্য কোনো পাত্রে গাছ লাগিয়ে, এমন টবে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। এ ধরনের টব পরিষ্কারের জন্য পরিষ্কারক দ্রব্য কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে ঘষে নিলেই টবগুলো হেসে উঠবে খলবলিয়ে।

সিরামিকের টব ও শামুকের খোলস দেখতে যেমন সুন্দর, যত্নও সহজ। সাবান-পানিতে পরিষ্কার করলেই ঝকঝকে–তকতকে হয়ে যায়। তবে এমন টব নাড়াচাড়া করতে হবে সাবধানে। অসাবধানে হাত থেকে পড়ে গেলেই ভেঙে যাবে, নয়তো ফাটল দেখা দিতে পারে।

কাচের জার, বোতল বা

বোয়াম পরিষ্কার ও সাবধানতা সিরামিকের মতোই। তবে কাচের জারের পানি প্রতিদিন পাল্টানো ও পরিষ্কার করা জরুরি। নয়তো পানিতে মশা জন্মাবে আর সেই সঙ্গে স্বচ্ছ কাচের পাত্রের গায়ে পানির দাগ বসে যাবে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর