img

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশে ভালো পরিমাণ প্রবাসী আয় আসছে। সমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা ২১১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠান ২১৫ কোটি ডলার। আগের মাসের চেয়ে আয় কিছুটা কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছরের একই মাসে প্রবাসীরা ১৬৫ কোটি ডলার পাঠান। প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, প্রবাসী আয়ের অবৈধ পথগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আবার করোনার কারণে কাজের সুযোগ কমে এসেছে। যারা দেশে ফিরছেন, সব বিক্রি করেই ফিরছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, আয় বাড়ার এটাই মূল কারণ।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আয় এসেছে ৮৮২ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে আয় এসেছিল ৬১৬ কোটি ডলার। ফলে এই সময়ে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর প্রবাসী আয়ের কারণে অক্টোবর শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার।এদিকে এত প্রবাসী আয় আসায় ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে। আর ডলার কিনে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দেওয়ায় অনেক ব্যাংকের হাতে অতিরিক্ত টাকা জমে গেছে। ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংকগুলো বিনিয়োগও করছে না। সরকার ও অন্য ব্যাংকের কাছে টাকা রেখে ব্যাংকগুলো আয়ের চিন্তা করছে।বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। এ কারণেও আয় বাড়ছে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর