img

ঋতু অনুযায়ী বদলে যায় ক্রিমের ধরন। তবে বিশেষজ্ঞরা ভালো মানের ক্রিমটাই ব্যবহারের পরামর্শ দেন। বয়স বুঝেও বেছে নিতে হবে ক্রিম। শুধু ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করলেই হবে না। মুখে ক্রিম লাগাতে হবে সঠিক উপায়ে ও একটু সময় নিয়ে।

ত্বক পাঁচ ধরনের—সাধারণ, শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র ও স্পর্শকাতর। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের ত্বক এমনিতেই ভালো থাকে। বাড়তি যত্ন নেওয়ার দরকার পড়ে এরপর থেকে। ফলাফল দেখতে পাবেন ৩০ বছরের পর থেকে। ২৫ বছর থেকেই ত্বক সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাওয়া ভালো। ত্বকে পানি লাগলেই ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। ত্বককে সব সময় আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ক্রিম, তৈলাক্ত ত্বকে পানি বেশি আছে এমন ক্রিম আর স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য মানানসই ক্রিম লাগাতে হবে।

২০ বছর পার হলেই রাত ও দিনের জন্য আলাদা ক্রিম কেনা উচিত। ২৫ বছরের পর একটু নিয়ম মেনে ক্রিম লাগানো উচিত। রাতের ক্রিমটি তুলনামূলক ভারী হতে হবে।

ত্বককে ওপরের দিকে তুলে ধরে মুখে ক্রিম মালিশ করতে হবে। ফেসওয়াশও ব্যবহার করুন একই নিয়মে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের ত্বক নিচের দিকে ঝুলে পড়বে, এটাই নিয়ম। গলায় ভাঁজ পড়ে সবার আগে।

মুখের ক্রিমটা পুরো গলাতেও লাগাতে হবে। এতে করে মুখের ও গলার স্কিনটোন একই রকম হবে। মুখ-ত্বকের সঙ্গে গলায় ক্রিম লাগানো অত্যন্ত জরুরি। নিচ থেকে ওপর দিকে ক্রিম লাগাতে হবে। গলার নিচের অংশেও ক্রিম লাগাবেন নিয়মিত। না হলে একটা সময় পর দেখা যাবে, মুখের ত্বক টান টান আছে। কিন্তু গলা ও নিচের অংশের চামড়া কুঁচকে গেছে।

দিনের বেলায় যে ক্রিম ব্যবহার করে বের হবেন, সেটায় সানস্ক্রিন থাকলে ভালো। পুনরায় ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে। অনেকে ভ্যাসলিনও ব্যবহার করেন ত্বকের ওপর। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে আরাম পাওয়া যায়।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর