img

এক দিকে দেশে সোনার দাম বেড়েই চলেছে। আর দাম বাড়ার এ সময়ে হঠাৎ করেই আকাশপথে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ সোনা। মধ্যপ্রাচ্যফেরত যাত্রীরা দেশে ফেরার সময় বৈধ উপায়ে ঘোষণা দিয়ে এসব সোনার বার নিয়ে আসছেন। দিন শেষে এভাবে সোনার আমদানি বাড়ছে। করোনাকালে বিদেশফেরত যাত্রীদের মাধ্যমে হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ সোনার বার দেশে আসার কারণ ও হিসাব মেলাতে পারছে না খাতসংশ্লিষ্টরা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছে, বাড়তি দামের কারণে বর্তমানে দেশে সোনার চাহিদা খুব কম। বেশি দাম পাওয়ার আশায় স্বর্ণালংকার কেনার চেয়ে ক্রেতাদের অনেকের মধ্যে পুরোনো স্বর্ণালংকার বিক্রির আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাহলে বিদেশযাত্রীদের হাত ধরে আসা এত সোনা যাচ্ছে কোথায়?

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে ৫১০টি সোনার বার এনেছেন যাত্রীরা। এসব সোনার বারের ওজন প্রায় ৫৯ কেজি। ঘোষণা দেওয়ায় এসব সোনার বার থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। এক মাসে বৈধভাবে এত বেশি সোনার বার এর আগে কখনোই আনা হয়নি বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। গত বছরের অক্টোবরে ঘোষণা দিয়ে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে ৯ কেজির বেশি সোনার বার এনেছিলেন যাত্রীরা। কাস্টমস সূত্র জানায়, এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বিমানবন্দরে ১০৪ কেজির বেশি সোনার বার ঘোষণা দিয়ে খালাস করেছেন যাত্রীরা। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে বেশির ভাগ সোনার বার এনেছেন দুবাইফেরত যাত্রীরা।

করোনার কারণে গত মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক পথে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বৈধ ও অবৈধ পথে সোনা আমদানিও কমে যায়। তাতে দেশে সোনার দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে গিয়েছিল। এখন আন্তর্জাতিক বেশ কিছু গন্তব্যে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় বৈধ ও অবৈধভাবে সোনা আসা বেড়েছে বলে মনে করছেন সোনা ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, বৈধভাবে সোনার আমদানি বাড়ার খবর ইতিবাচক। এতে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশও বজায় থাকবে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর